সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: ভারতীয় সেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পে (Agnipath Scheme) নিয়োগের বিরোধিতা করে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছিল দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court)। সেই যাবতীয় আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। অগ্নিপথ প্রকল্পের বৈধতা বহাল রাখল বিচারপতিরা। উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সুব্রমনিয়াম প্রসাদের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “সেনা বাহিনীর নিয়োগ প্রকল্পে হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ খুঁজে পাইনি আদালত।”
গত বছর চালু হয় অগ্নিপথ প্রকল্প। এই প্রকল্পে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার সেনাকে প্রতিবছর নিয়োগ করা হবে। নিযুক্তরা চার বছর পর অবসর নেবেন। এদের মধ্যে ২৫ শতাংশকে আরও ১৫ বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে। প্রকল্প ঘোষণার পরেই দেশজুড়ে তুমুল আন্দোলন শুরু হয়েছিল। হিংসাত্বক আন্দোলনের জেরে গ্রেপ্তার করা হয় বেশ কয়েকজন কর্মপ্রার্থীকে।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে পথ কুকুরকে ‘ধর্ষণ’! ভাইরাল অত্যাচারের ভিডিও, থানায় অভিযোগ এলাকাবাসীর]
অন্যদিকে এই প্রকল্পের বৈধতা নিয়ে মামলা ওঠে আদালতে। আগেই আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছিল, এই নিয়োগ পদ্ধতি “মেধা ভিত্তিক এবং স্বচ্ছ”। সরকার দাবি করে, সময়ের দাবি মেনেই তরুণদের নিয়োগ করা হচ্ছে। নতুন সামরিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাহিনীর কাঠামো বদল প্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে।
[আরও পড়ুন: অপহৃত ২ মুসলিম যুবকের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার, পিটিয়ে খুনের অভিযোগ বজরং দলের বিরুদ্ধে]
এদিনে রায়ে কেন্দ্রের দাবিকে কার্যত মেনে নিলেন বিচারপতিরা। অবশ্য এর আগেও বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন, সেনায় নিয়োগ প্রকল্প নিয়ে বলার এক্তিয়ার নেই তাঁদের। এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কারণ খুঁজে পায়নি তাঁরা। উল্লেখ্য, আগেই আদালত জানিয়েছিল, সেনা বাহিনীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া বিশেষজ্ঞদের বিষয়। তা সকলে বুঝবেন না। এদিনের রায়ে সেই বক্তব্যের প্রতিফলনই দেখা গেল। পাশাপাশি বিচাপতিরা জানান, দেশে স্বার্থে এই প্রকল্প চালু হয়েছে। অতএব, আদালত হস্তক্ষেপ করবে না।