সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের দিল্লিতে শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া। লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে দেহ বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ফেলল যুবক। নিজের বোনের সঙ্গে হাত মিলিয়েই যুবতীকে খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশে।
নৃশংস এই ঘটনা উত্তর-পূর্ব দিল্লির। পুলিশের তরফে ডেপুটি কমিশনার জয় তিরকে জানিয়েছেন, গত ১২ এপ্রিল রাতে তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে। যুবতীর দেহ পড়ে থাকার খবর পান। ঘটনাস্থলে গিয়ে সেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক জানান, দম বন্ধ করেই খুন করা হয়েছে ২৫ বছরের যুবতীকে। শরীরে অন্য কোনও ক্ষতচিহ্ন নেই। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃতা রোহিনা চার বছর আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিনীতের সঙ্গে সহবাস করতেন।
[আরও পড়ুন: চাপের মুখে নতিস্বীকার? পাকিস্তানে এশিয়া কাপ খেলবে না ভারত, মেনে নিল পাক বোর্ড]
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিনীতকে বিয়ের জন্য জোর দিচ্ছিলেন রোহিনা। সেই নিয়েই গত ১২ এপ্রিল দু’জনের মধ্য়ে বচসা হয়। তারপরই মেজাজ হারিয়ে রোহিনাকে গলা টিপে হত্যা করে বিনীত বলে অনুমান। এরপর সন্ধেয় দেহ লোপাটের জন্য এক বন্ধুকে ফোন করে বিনীত। ৫০ জন পুলিশের একটি দল ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেই ফুটেজেই দেখা যায়, একটি মোটরবাইকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ি থেকে প্রায় ১২-১৩ কিলোমিটার দূরে। বাইকের পিছনে বিনীতের বোন পারুলকে হাঁটতে দেখা যায়। পুলিশের দাবি, বিনীত ও তার বন্ধুকে দেহ লোপাটে সাহায্য করেছিল পারুলও। পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করা হলে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে সে। তবে এখনও বিনীত ও তার বন্ধুর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশে এক খুনের অভিযোগে যাবজ্জীবন জেল হয়েছিল বিনীত ও তার বাবার। গত বছর নভেম্বর থেকে জামিনে মুক্ত ছিল সে। তার মধ্যেই ঘটল এই ঘটনা। এর আগে দিল্লিতে লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় আফতাবকে। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল।