সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিভ ইন পার্টনার নয়, খুনের বছর তিনেক আগে গোপনে নিকিকে বিয়েও করেছিল সাহিল গেহলট। পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০২০ সালে চুপিসারে মন্দিরে চারহাত এক হয়েছিল নিকি ও সাহিলের। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বিয়ের পিঁড়িতে বসায় সেই তথ্য গোপনই রাখে সাহিল। খুনের ঘটনার পর সেই সাহিলের কাছে ফিরতে নারাজ স্ত্রী।
১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির এক ধাবা থেকে নিকি যাদবের দেহ উদ্ধার হয়। খুনের অভিযোগে সাহিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ (Delhi Police)। তাকে জেরা করেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে গ্রেটার নয়ডার আর্য সমাজ মন্দিরে গোপনে বিয়ে সারেন নিকি ও সাহিল। তাঁদের বিয়ের সার্টিফিকেটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাহিলের পরিবারও নাকি এই বিয়ের কথা জানত। কিন্তু নিকিকে বধূ হিসেবে পছন্দ ছিল না তাঁদের। তাই গত বছর ডিসেম্বরে ফের সাহিলের বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। পাত্রীর পরিবারের কাছে সব কথা গোপন রেখেই ছেলের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার।
[আরও পড়ুন: ৬০ ঘণ্টার ‘সমীক্ষা’ শেষে বিবিসির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ আয়কর বিভাগের]
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিকিকে খুনের ছক কষতে সাহিলকে সাহায্য করেছিল তার বাবা বীরেন্দ্র সিংও। তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্পেশ্যাল সিপি রবীন্দ্র যাদব জানান, বীরেন্দ্র সিংয়ের পাশাপাশি সাহিলের দুই ভাই ও দুই বন্ধুকেও নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
এদিকে লিভ ইন সঙ্গীকে খুন করে ফ্রিজে দেহ ভরে রাখার ঘটনা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি সাহিলের সদ্যপরিণীতা স্ত্রী। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তিনি বাবা-মায়ের কাছেই ফিরে গিয়েছেন। জানিয়ে দেন, ওই স্বামীর কাছে ফিরতে চান না। এই যুবতীর সঙ্গেই বাগদান সর্ব সারার পর নিকিকে খুন করে সাহিল বলে অভিযোগ। আর খুনের পর আবার এই যুবতীর সঙ্গেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে। এহেন সাহিলের মানসিক স্থিতি নিয়েও সন্দিহান তদন্তকারীরা।