সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রশ্মিকা মান্দানার ডিপফেক ভিডিও নিয়ে মেটাকে কাঠগড়ায় তুলল দিল্লি পুলিশ। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মের সূত্রের দাবি, মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছে না। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন হল দিল্লি পুলিশের তরফে স্পেশাল সেল পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
মেটার (Meta) বিরুদ্ধে ঠিক কী দাবি দিল্লি পুলিশের? সংবাদমাধ্যমের সূত্র জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই রশ্মিকার ডিপফেক ভিডিও সংক্রান্ত যা তথ্য মেটার কাছে রয়েছে তা চেয়ে পাঠিয়েছিল দিল্লি পুলিশের সাইবার শাখা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্যই দেয়নি মেটা। পাশাপাশি সূত্রের আরও দাবি, দীর্ঘ তদন্তশেষেও কোনও দিশা মেলেনি অভিযুক্ত পর্যন্ত পৌছনোর। সে ইতিমধ্যেই তার অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলে সমস্ত তথ্য উড়িয়ে দিয়েছে। এমনিতেও সে ভুয়ো পরিচয় ও ভিপিএনের সাহায্যে ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করত। ফলে ক্রমেই সে অধরা হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মেটার বিরুদ্ধে তদন্তে সাহায্য না করার অভিযোগের কথা জানাল সূত্র।
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে জিপিএস সিগন্যাল হারিয়ে ফেলছে ভারতীয় বিমানগুলো, ঘনাচ্ছে রহস্য]
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সোশাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে রশ্মিকা মান্দানার (Rashmika Mandhana) বিকৃত ভিডিও। ডিপফেক এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে নানা মহলে। নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, ডিপফেক রুখতে কড়া হবে কেন্দ্র। এর পর শুক্রবারই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়ে দিলেন, শিগগিরি কেন্দ্র একজন অফিসারকে নিয়োগ করতে চলেছে যিনি এই ধরনের কনটেন্টের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করবেন। কেবল তাই নয়, সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে ৭ দিনের ডেডলাইন দেওয়া হয়েছে, যা শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে। তথ্য ও প্রযুক্তি আইন মেনে যথাযথ ভাবে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের।