সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণে নাজেহাল দিল্লি। বাতাস কার্যত বিষাক্ত। শ্বাস নেওয়াই কষ্টকর। এ হেন শহর কি ভারতের রাজধানী হওয়ার উপযুক্ত? প্রশ্ন তুলে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, যেখানে বছরের বেশিরভাগ সময় বাস করাই কষ্টকর, সেই শহর দেশের রাজধানী কীভাবে হয়?
সোশাল মিডিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলির একটি তালিকা পোস্ট করেছেন থারুর। তিনি যে পরিসংখ্যান পোস্ট করেছেন, সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় দিল্লির ধারেকাছে নেই কোনও শহর। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ঢাকাও দিল্লির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। থারুর বলছেন, "আমাদের সরকার বছরের পর বছর মুখ বুঝে যে দূষণ যন্ত্রণা দেখছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করছে না। আমি নিজে ২০১৫ থেকে বাতাসের গুণগত মান নিয়ে অন্যান্য সাংসদদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু কিছুই যেন বদলায়নি। কারও কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই।"
এর পরই শশী প্রশ্ন তোলেন, "নভেম্বর থেকে জানুয়ারি এই শহরটা বসবাসের উপযুক্ত থাকে না। অন্য সময়ও অসহ্য। দিল্লির কি সত্যিই দেশের রাজধানী থাকা উচিত?" থারুরের ওই পোস্টে বহু নেটিজেন পরামর্শ দিয়েছেন, দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই বা হায়দরাবাদের মতো কোনও শহরে রাজধানী হওয়া উচিত। ওই শহরগুলির বাতাস অনেক পরিষ্কার।
ইতিমধ্যেই বায়ুদূষণকে ‘মেডিক্যাল এমার্জেন্সি’ হিসাবে ঘোষণা করেছে দিল্লির সরকার। গতকাল দিল্লির বায়ুদূষণ চলতি মরশুমের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল। দিল্লির বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল ৪৮১ (AQI)। মঙ্গলবার আরও বেড়েছে দূষণের পরিমাণ। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাজধানীর দূষণের মাত্রা উঠেছে ৪৯৪ (AQI) পর্যন্ত। এছাড়াও দিল্লির একাধিক এলাকায় দূষণের মাত্রা ৫০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। সেই তালিকায় রয়েছে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম, মুনকা, নর্থ ক্যাম্পাস, ওয়াজিরপুরের মতো জায়গাগুলো। এই অবস্থায় থারুরের এই প্রশ্ন নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।