স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: ২০২০ সালে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হওয়া অশান্তির (Delhi Violcence) ঘটনায় সোনিয়া-রাহুল-প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur), কপিল মিশ্র, পরবেশ বর্মা, অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর, উমর খালিদ-সহ প্রায় ২৫ জনকে নোটিস পাঠাল দিল্লি হাই কোর্ট। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে প্রভাবশালী এই নেতাদের নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় আদালত।
দু’বছর আগে রাজধানী দিল্লিতে সিএএ (CAA) সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। যার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানীর উত্তর-পূর্ব অংশ। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হওয়া হিংসায় প্রাণ যায় পঞ্চাশেরও বেশি মানুষের। আহত হন কয়েক হাজার। ঘরবাড়ি, দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, ভাঙচুর হওয়া, লুঠ হওয়ার মতো ঘটনাও হয় মু়ড়ি মুড়কির মতো। এই হিংসার জন্য রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা, বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত কর্মীদের উসকানিমূলক মন্তব্যকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল। সেই ধরনেরই এক মামলার শুনানি সোমবার ছিল দিল্লি হাই কোর্টে।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আটক প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের পাশে ভারত, সহায়তার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর]
এদিন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi), প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ বাকিদের নোটিস পাঠিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। আবেদনকারীদের বক্তব্য ক্রমাগত নানা উসকানিমূলক মন্তব্যের জেরেই সেই সময় উত্তপ্ত হয়েছিল পরিস্থিতি। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের বিভিন্ন বক্তব্যের ভিডিও আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরাতে তৎপর কেন্দ্র, স্লোভাকিয়া ও রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা মোদির]
সূত্রের খবর, তিন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর, কপিল মিশ্র, পরবেশ বর্মা, মিম নেতা আকবরুদ্দিন ওয়াইসি, আম আদমি পার্টির নেতা মণীশ তিওয়ারি, আমানাতুল্লা খানদের বক্তব্যকেই হিংসার পিছনে অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। রাহুল, সোনিয়া এবং প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে অভিযোগ ততটা গুরুতর নয়। তবু, আদালত তাঁদের এই মামলায় পার্টি করতে চায়। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ২২ মার্চ। তার আগে এই নোটিসের জবাব চাওয়া হয়েছে রাহুল-সোনিয়াদের কাছে।