সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির সাম্প্রদায়িক অশান্তিকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ (Terrorist Activity) বলে উল্লেখ করল পুলিশ। বলা হয়েছে, অশান্তির ব্যাপ্তি ও প্রভাব ছিল মারাত্মক। হিংসা ছড়াতে দাঙ্গাকারীরা অত্যাধুনিক ও মারাত্মক সমস্ত অস্ত্র ব্যবহার করেছিল। তাই দিল্লি পুলিশ অতিরিক্ত চার্জশিটে ফেব্রুয়ারি মাসের অশান্তিকে ‘সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ’ বলে উল্লেখ করল।
জেএনইউ-র প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শারজিল ইমাম এবং ফয়জান খানের নাম রয়েছে চার্জশিটে। তাঁদের বিরুদ্ধে অশান্তিতে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ রয়েছে। চার্জশিটে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকারের CAA ও NRC প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লিতে ছড়ানো হিংসায় আগ্নেয়াস্ত্র, পেট্রল বোমা, অ্যাসিড হামলা-সহ একাধিক ভয়ানক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। সেই অশান্তিতে এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়। ২০৮ পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হন। এই সমস্ত বিষয়ের দিকে নজর রেখে ওই অশান্তিকে অনায়াসে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বলা যেতে পারে।”
[আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কার নৌকায় মাদক-হাতিয়ার পাচার পাকিস্তানের, ধরল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী]
ওই হিংসার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ৫০ জনের। জখম হয়েছিলেন কমপক্ষে ৭৫০ জন। প্রচুর সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি, পরিবহণের ক্ষতি হয়। বিপর্যস্ত হয়েছিল স্বাভাবিক জনজীবন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল-ওষুধের মতো জরুরী পরিষেবা মেলাও দায় হয়ে গিয়েছিল। এর থেকেই ওই অশান্তির প্রভাব যে কতটা মারাত্মক তা আন্দাজ করা যায়। তাই দিল্লি হিংসাকে অনায়াসে ‘সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ’ বলা যায় বলে দাবি করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ (UAPA) ধারায় মামলা হয়েছে। কারণ, তাদের কর্মকান্ড দেশের একতা ও দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনের উপর প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি পুলিশের। এমনকী, এই অশান্তি আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তি খারাপ করেছে বলেও অভিযোগ। মঙ্গলবার দিল্লির কাড়কাড়ডুমা আদালতে ৯০৩ পাতার এই অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করে দিল্লি পুলিশ।
[আরও পড়ুন : জেলে বসেই কলকাঠি নাড়ছেন লালু! অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে অভিযোগ সুশীল মোদির]
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ভয়াবহ দাঙ্গার সাক্ষী থাকে উত্তরপূর্ব দিল্লির একাধিক এলাকা। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে ইউএপিএ ধারায় উমর খালিদ ও শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। এই মর্মে ২২ নভেম্বর দিল্লির একটি আদালতে চার্জশিট ফাইল করেছে পুলিশ। সেখানে উমর খালিদ, শারজিল ইমাম-সহ ফইজান খানেরও নাম রয়েছে।