সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মডেল (Model) হিসাবে সবেমাত্র নাম করছিলেন তিনি। হাতে ছিল নানা বিজ্ঞাপনে কাজের প্রস্তাব। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের চাপ সামলে সাক্ষাৎকারের জন্য সময়ও বের করেছিলেন তিনি। তবে তরুণী মডেল চেয়েছিলেন সাক্ষাৎকারের আগে নিজের ‘লুক’ বদলাতে। চুলের স্টাইল বদলাতে তাই হাজির হয়েছিলেন দিল্লির বিখ্যাত স্যালোঁতে। আর তাতেই ঘটল যত বিপত্তি।
দিনটা ছিল ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল। ওইদিনই দিল্লির স্যালোঁতে (Salon) গিয়েছিলেন তিনি। সেদিন তাঁর পছন্দসই হেয়ার স্টাইলিস্ট ছিলেন না। তবে অন্য একজন তাঁর চুল সেট করে দেবেন বলেই স্থির করেছিলেন। মডেল বলেছিলেন, মাথার সামনের দিকের চুলে ‘লেয়ার কাট’ করে দিতে। খুব সামান্য চুল নিচের দিকে কাটারও নির্দেশ দেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চুল কাটেন হেয়ার স্টাইলিস্ট। তরুণী মডেল দেখেন শেষ পর্যন্ত মাত্র চার ইঞ্চি বাদ দিয়ে বাকি অংশ কেটে ফেলেছেন ওই হেয়ার স্টাইলিস্ট। মডেলের আরও অভিযোগ, হেয়ার ট্রিটমেন্টের নামে এমন কিছু রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে যাতে তাঁর স্ক্যাল্পের ক্ষতি হয়েছে। তার ফলে ক্রমশই চুল পড়ে যায় তাঁর।
[আরও পড়ুন: রাজধানী এক্সপ্রেস অপহরণের মূল চক্রী ছত্রধর মাহাতোই! চার্জশিট পেশ করল NIA]
হেয়ার স্টাইলিস্টের ‘কীর্তি’তে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই তরুণী। চুলের এমন অবস্থা হওয়ায় উপার্জনও বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। হাতছাড়া হয়ে যায় সমস্ত বিজ্ঞাপনের কাজ। মডেলিং পেশা থেকেও সরে যেতে হয় তাঁকে। তার ফলে ক্রমশই অবসাদ গ্রাস করতে থাকে তাঁকে। নিজেকে গৃহবন্দি করে রাখতে শুরু করেন ওই তরুণী মডেল। এমনকী আয়নায় মুখ দেখাও বন্ধ করে দেন তিনি।
এরপর ওই তরুণী মডেল দ্য ন্যাশনাল কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশনের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এই মামলায় বিচারপতি আর কে আগরওয়াল এবং ডাঃ এস এম কান্তিকর জানান, চুলের সঙ্গে মহিলাদের আবেগ জড়িয়ে থাকে। তাই তাঁরা চুল (Hair) ভাল রাখতে প্রচুর টাকাও খরচ করেন। তাই চুল নষ্ট হওয়ায় সংশ্লিষ্ট স্যালোঁকে ২ কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি।