সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপর একটি বোতামের চাপ। আর ন’সেকেন্ডের মধ্যে জলের মতো ঝরে পড়বে নয়ডার টুইন টাওয়ার (Twin Tower)। ২১ বছর আগে জোড়া বিমানের ধাক্কায় মাটিতে মিশেছিল টুইন টাওয়ার। সেই জোড়া মিনার নিউ ইয়র্কে (New York) হলেও বর্তমানে আলোচনায় রয়েছে যে টুইন টাওয়ার তা দিল্লি (Delhi) সংলগ্ন নয়ডার। বেআইনি নির্মাণকাজের জন্য যা ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট (Supreme Court)।
ন’বছরের আইনি লড়াই শেষে গত বছর আগস্ট মাসে টুইন টাওয়ার ভাঙার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রায় তিনমাসের প্রস্তুতির পর আজ রবিবার দুপুর আড়াইটের সময় মাটিতে মিশবে জোড়া মিনার। গত তিন মাসে বহু সুক্ষ হিসেবনিকেশ করে তিন হাজার সাতশো কিলো বিস্ফোরক রাখা হয়েছে সেয়ান ও অ্যাপেক্স নামের দুই টাওয়ারে। একটি বোতামের চাপে তা ন’সেকেন্ডের মধ্যে ঝরে পড়বে ঝলের ধারার মতো। তবে যে ধ্বংসস্তূপ জমবে তা সরাতে সময় লাগবে অন্তত তিন মাস। এক হাজার ট্রাক তা সরাবে এই সময় ধরে।
[আরও পড়ুন: শপিংমলে নমাজ মুসলিম কর্মীদের, পালটা গলা চড়িয়ে ভজন হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা ভোপালে]
বিস্ফোরণের পর ভেঙে পড়ার প্রক্রিয়াটি নির্বিঘ্নেই হবে তা নিশ্চিত করা হলেও, সুরক্ষার খাতিরে রবিবার সকাল থেকেই জোড়া টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা থেকে সমস্ত বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। বিস্ফোরণের আগেভাগে বন্ধ করা হবে নয়ডা-গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে। বন্ধ হবে পাইপলাইনে এলাকায় গ্যাস সরবরাহ। এক সময় নিরাপত্তারক্ষীরাও টুইন টাওয়ার এলাকা ছাড়বেন। এরপরই টেপা হব বোতাম। তবে বিকেলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এলাকায় ফিরে আসবেন স্থানীয়রাও। তবে আপাতকালীন ব্যবস্থা হিসেবে তৈরি থাকছে দমকল থেকে অ্যাম্বুলেন্স।
[আরও পড়ুন: ‘চাল-গম-দুধে GST বসিয়ে বিধায়ক কেনার টাকা তুলছে কেন্দ্র’, বিস্ফোরক কেজরি]
হরিয়ানার বাসিন্দা চেতন দত্তের হাতের একটি বোতামের চাপে শুরু হবে বিস্ফোরণ। টাওয়ার ভাঙার সুপ্রিম নির্দেশের পর থেকেই চেতন অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর সংস্থার কাছেই যেন এই কাজের বরাত আসে। আর ঘটেছেও ঠিক তা-ই। বহুতল ভাঙার কাজ করে তাঁর সংস্থা। কিন্তু এই জোড়া টাওয়ার ভাঙার কাজ তাঁর সংস্থার কাছেই এসেছে, এ যেন চেতনের স্বপ্নপূরণ।