সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চূড়ান্ত পরিণতি নিল শাশুড়ি ও বউমার ঝামেলা। ৮৬ বছরের বৃদ্ধা শাশুড়িকে ফ্রাইং প্যান দিয়ে মেরে খুনের অভিযোগ উঠল আটচল্লিশের বউমার বিরুদ্ধে। দিল্লির নৃশংস ঘটনায় শিউরে উঠছে গোটা দেশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সাউথ দিল্লির নেব সরাই এলাকার একটি ফ্ল্যাটে ঘটে এই ঘটনা। সুরজিৎ সোম, তাঁর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা সোম এবং ১৬ বছরের মেয়ে ২০১৪ সাল থেকে এই এলাকার বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্রে তাঁরা কলকাতার। গত বছর মার্চে সুরজিৎ তাঁর মা হাসি সোমের দেখভালের জন্য তাঁকে দিল্লিতে নিজের কাছে নিয়ে আসেন। যে ফ্ল্যাটে তিনি পরিবারের সঙ্গে থাকতেন, ঠিক তার সামনের ফ্ল্যাটটিই মায়ের জন্য ভাড়া নিয়েছিলেন। কিন্তু বছর ঘুরতেই ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা।
[আরও পড়ুন: সুকন্যা গ্রেপ্তার হলে জয় শাহ নয় কেন? অনুব্রতকন্যার পাশে দাঁড়িয়ে বীরভূমে সরব অভিষেক]
গত ২৮ এপ্রিল সুরজিতের এক বন্ধু পুলিশকে জানান, নিজের ফ্ল্যাটে হাসি সোমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। সুরজিৎ জানান, তাঁর মায়ের আর্থারাইটিসের সমস্যা থাকায় হাঁটতে চলতে অসুবিধা হত। হয়তো সে কারণেই তিনি রান্নাঘরে পড়ে গিয়েছেন। কিন্তু হাসি সোমের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই ঘটনার মোড় ঘোরে। চিকিৎসক জানান, মাথায় গুরুতর আঘাত ছিল হাসি সোমের। যা শুধু পড়ে গেলে হওয়া সম্ভব নয়। বরং ভারী কিছু দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়েছিল।
মা’কে চোখে চোখে রাখতে হাসি সোমের বাড়িতে একটি সিসিটিভি বসিয়ে রেখেছিলেন সুরজিৎ। তদন্তে নেমে সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরই গোটা বিষয়টা অনেকটা পরিষ্কার হয় পুলিশের কাছে। সেখানেই দেখা যায়, শাশুড়ির সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। এরপরই শাশুড়ির পিছন পিছন তিনি রান্নাঘরে ঢুকে যান। সিসিটিভি ফুটেজে শোনা যায়, ফ্রাইং প্যান দিয়ে বৃদ্ধাকে মারার আওয়াজ। শাশুড়ির অসুস্থতা নিয়ে বিরক্ত হয়েই এই কাণ্ড ঘটান তিনি বলে প্রাথমিক অনুমান। ফুটেজটি প্রথমে সুরজিৎ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় শর্মিষ্ঠাকে। ঘটনার তদন্ত চলছে।