সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরের প্রথমেই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী রইল রাজধানী দিল্লি। ২০ বছরের এক তরুণীকে ছেঁচড়ে নিয়ে যায় এক ‘ঘাতক’ গাড়ি। আর তাতেই প্রাণ হারান তিনি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশে সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার ভোরের দিকে সুলতানপুরীতে ঘটে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। স্কুটিতে করে যাচ্ছিলেন ২০ বছরের ওই তরুণী। সেই সময়ই একটি গাড়ি এসে স্কুটিটিতে সজোরে ধাক্কা মারে এক বেপরোয়া গাড়ি। গাড়ির নিচে আটকে যায় তরুণীর পা। সেই অবস্থাতেই তাঁকে টেনে হিঁচড়ে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার গিয়ে যায় গাড়িটি। পুলিশ আধিকারিক হরেন্দ্র কে সিং জানান, ‘‘গাড়ির নম্বর দেখে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের দাবি, একটি স্কুটিতে ধাক্কা দিয়েছিল তাদের গাড়ি। যদিও ওই তরুণীর যে পা আটকে গিয়েছিল এবং তার জেরে এতটা পথ ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে গিয়েছেন তিনি, তা নাকি টেরও পায়নি তারা। ধৃতদের মধ্যে একজন পেশায় ক্রেডিট কার্ড কালেকশন এজেন্ট, এক চালক ও এক রেশন দোকানি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: নতুন বছরেও অটুট ভারতের সম্প্রীতি, হিন্দু শিশুকে রক্ত দিয়ে বাঁচালেন মুসলিম যুবক]
তবে মৃত তরুণীর মা রেখার দাবি, তাঁর মেয়েকে যৌন হেনস্তাও করা হয়েছে। তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আমার মেয়ের দেহ। যৌন হেনস্তা না হলে দুর্ঘটনায় পুরো পোশাক ছিঁড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমি এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। সুবিচার চাই।” নির্ভয়ার মতোই তাঁর সঙ্গে যৌন হেনস্তা হয়েছে বলে দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
এদিকে, দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালের দাবি, গাড়ির পাঁচজন সওয়ারিই মাদকাসক্ত ছিলেন। তাঁর কথায়, এই ভয়ংকর ঘটনার আরও তথ্য জানতে দিল্লি পুলিশকে তলব করা হয়েছে। তার পরই সত্যিটা সামনে আসবে।