সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গতকাল দিল্লির দূষণ (Delhi Pollution) নিয়ে পড়শি রাজ্যগুলিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শস্যের গোড়া বা খড় পোড়ানো যে রাজধানীর সাম্প্রতিক ধোঁয়াশার অন্যতম কারণ, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে আদালত। বুধবারও দূষণ পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এদিনও বাতাসের গুণগত মান রয়েছে ‘ভয়ংকর’ পর্যায়ে। তবে তা গত কয়েক দিনের তুনলায় কিছুটা কম। এদিন সকাল ৭টা নাগাদ রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান ছিল ৪২১ AQI। এদিকে দিল্লির পাশাপাশি দূষণের ঝুঁকিতে মুম্বইও (Mumbai)। সেখানে ইতিমধ্যে একটি হাসপাতাল বিশেষ রেসপিরেটরি ICU বা শ্বাসযন্ত্রজনিত জরুরি বিভাগ খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মধ্যে বাতাসের গুণগত মান সবচেয়ে খারাপ গ্রেটার নয়ডায়। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক লোধি রোড, জেএলএন স্টেডিয়াম, সিরি ফোর্ট, অরবিন্দ মার্গ এবং ডিলশাদ গার্ডেন এলাকায়। এর মধ্যেই দূষণের ঝুঁকিতে মুম্বইও। সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের পারেলে অবস্থিত গ্লোবাল হসপিটাল বিশেষ রেসপিরেটরি ICU খুলল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ছয় মাসে শ্বাসযন্ত্রজনিত সমস্যার রোগী বাড়ছে বাণিজ্য নগরীতে। দূষণের কারণে ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: সেলুনের মালিক থেকে সরকারি চাকুরিজীবী, সঙ্গে মোটা নগদ! পরিচারকের ভাগ্যও বদলে দেন বালু]
উল্লেখ্য, মুম্বইতে বুধবার সকালে AQI ছিল ১৬৫। উল্লেখ্য, গত রবিবার বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় দিল্লি যেমন শীর্ষে ছিল, মুম্বই ছিল ষষ্ঠ স্থানে। পরিবেশবিদ এবং চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মুম্বইয়ের অবস্থাও দিল্লির মতো হতে পারত। সমুদ্র বাঁচিয়ে দিচ্ছি মারাঠা শহরকে। হওয়ার দাপটের কারণেই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেখানকার দূষণ পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: নেই মন্দির, পুজো শেষে আকাশে তারা থাকতেই হয় বিসর্জন, জানুন বালুরঘাটের এই পুজোর ইতিহাস]
উল্লেখ্য, দূষণ পরিস্থিতিতে একাধিক কড়া পদক্ষেপ করেছে দিল্লি। ১) ফিরছে জোড়-বিজোড় নম্বর-প্লেটের গাড়ির বিধি। ২) রাজধানীতে ঢোকা মানা ভিন রাজ্যের ডিজেল চালিত গাড়ির। ৩) সমস্ত ধরনের নির্মাণকাজে অনির্দিষ্টলের নিষেধাজ্ঞা। ৪) BS3 পেট্রল এবং BS4 ডিজেল গাড়িতেও নিষেধ। ৫) সব রকমের আতসবাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা। ৬) বেসরকারি সংস্থায় ৫০ শতাংশ কর্মী কাজ করবে ওয়ার্ক ফ্রম হোম পদ্ধতিতে। এবং ৭) দূষণের জেরে ১০ নভেম্বর অবধি বন্ধ সব স্কুল।