সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ হয়েছিস। তা নিয়ে তুঙ্গে কূটনৈতিক চাপানউতোর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইরান, ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে যে আলোচনা চলছে তা বলাই বাহুল্য। এবার হামলায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে বিস্ফোরণের তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) হাতে তুলে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনটাই খবর সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে।
[আরও পড়ুন: দিল্লি বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করল জইশ-উল-হিন্দ, টেলিগ্রাম চ্যাটে মিলল তথ্য]
সূত্রের খবর, গত শুক্রবার ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে ঘটা ওই বিস্ফোরণে ইরানের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। প্রাথমিক তদন্তে বিস্ফোরকটিতে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। অত্যন্ত প্রশিক্ষিত চর বা কমান্ডো ট্রেনিং প্রাপ্ত না হলে এমন বিস্ফোরক তৈরি করা সম্ভব নয়। এর আগেও ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ইজরায়েলের কূটনীতিকের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ইরানের (Iran) হাত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। ফলে রীতিমতো কূটনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছিল তেল আভিভ, নয়াদিল্লি ও তেহরানের মধ্যে। বিস্ফোরণে ইরানের দিকে আঙুল উঠলেও সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছে তেহরান। কিন্তু দুই ‘বন্ধু দেশে’র বিবাদ ভঞ্জনে এবার এনআইএ’র দ্বারস্থ হয়েছে সরকার।
উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছিলেন। বিস্ফোরণ পরবর্তী পরিস্থিতি সামলানো ও দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পালটা জানান, ইজরায়েলি কূটনীতিবিদ ও দূতাবাসের নিরাপত্তা ভারতের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেদিকে কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। পাশাপাশি, দূতাবাসের বাইরের হামলার কড়া নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।