সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন হেনস্তার শিকার নাবালিকার পরিচয় টুইট করেছিলেন রাহুল গান্ধী। যা নিয়ে তোলপাড় হয় গোটা দেশ। এবার সেই ঘটনায় দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন (NCPCR)। দিল্লি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মা এবং বিচারপতি সঞ্জীব নরুলার বেঞ্চে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনা ২০২১ সালের। হাই কোর্টে জমা দেওয়া হলফনামায় কমিশন জানায়, এক দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণের পরে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পর নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তাঁর মা-বাবার সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সোনিয়াপুত্র। এমনকী তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা ভিডিওতে ন’বছরের নির্যাতিতার পরিচয়ও ফাঁস করেছিলেন তিনি। সেই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে এফআইআর করা উচিত বলেই দাবি কমিশনের।
[আরও পড়ুন: পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার CBI স্ক্যানারে কামারহাটির পুরকর্মীরা, ৩১ জুলাই হাজিরার নির্দেশ]
নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে রাহুলের দেখা করার সেই ভিডিওটি নিয়ে বিতর্ক চরমে পৌঁছায়। এ নিয়ে টুইটারকে চিঠি দেয় জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। যার পর রাহুলের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে টুইটার। মাইক্রো ব্লগিং সাইটটি সেই বিতর্কিত ভিডিও এবং ছবিও পরে ডিলিট করে দেয়। বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন রাহুল। নির্যাতিতা ও তার পরিবারের পরিচয় প্রকাশ্যে আনার জন্য রাহুলের বিরুদ্ধে এবার পকসো আইন ভাঙার অভিযোগ তুলেছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন।
রাহুলের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের কাছে পকসো আইনে এফআইআরের আরজি জানিয়েছে কমিশন। এই ঘটনায় জড়িতদের থেকে তথ্য় সংগ্রহের জন্য আট সপ্তাহ সময় দিয়েছেন বিচারপতি। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ নভেম্বর।