সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: আদালতের ফরমানে থমকে গেল বুলডোজারের চাকা। সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে রক্তাক্ত হরিয়ানার নুহতে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করল প্রশাসন। তবে গোটা এলাকা এখনও থমথমে। যে কোনও অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ বাহিনী তৈরি বলে খবর।
৩১ জুলাই ধর্মীয় মিছিলে অশান্তি ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হরিয়ানা (Haryana)। নুহ সংঘর্ষস্থল হলেও হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে গুরুগ্রামেও। মৃত্যু হয় ছ’জনের। তারপরই দুই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে প্রশাসন। নুহ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে তাউরু এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতেই বুলডোজার গুঁড়িয়ে দেয় আড়াইশোরও বেশি ঝুপড়ি। সেগুলি ছিল ভিনরাজ্য থেকে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের। প্রশাসনের দাবি, যারা অশান্তি বাঁধিয়েছিল, তাদেরই বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘর ভেঙেছে পরিযায়ীদেরই, যাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ বাংলার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের নির্দেশেই ওই বুলডোজার চালানো হয়।
[আরও পড়ুন: নুহের দাঙ্গা ‘পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’, বিস্ফোরক দাবি হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজের]
এই উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারি জমি দখলমুক্ত করার নামে সংখ্যালঘুদের নিশানা করছে খট্টর সরকার। এই প্রেক্ষাপটে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নুহর ডেপুটি কমিশনার ধীরেন্দ্র খাদগাতা বলেন, “আদালতের নির্দেশে আমরা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রেখেছি।”
উল্লেখ্য, গত মাসের শেষে বিজেপিশাসিত হরিয়ানার নুহ-তে ‘ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা’র আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। গুরুগ্রাম-আলোয়ার হাইওয়েতে মিছিলে বাধা দেয় একদল যুবক। তারা মিছিল লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে বলে অভিযোগ। তার জেরেই তুমুল অশান্তি শুরু হয়। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। এদের মধ্যে একজন ইমামও ছিলেন। আহত হয়েছেন অনেকেই। পোড়ানো হয় অসংখ্য গাড়ি, বাড়ি, দোকান।