সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত তিনদিনে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গুর আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ শহরতলির যাদবপুরে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর প্রশাসন। শুক্রবার থেকে যাদবপুরের বেঙ্গল ল্যাম্প লাগোয়া প্রিন্স গোলাম হোসেন শাহ রোডে বসেছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। এলাকায় জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজ শুরু করেছে পুরসভা। এদিকে সকালে আবার স্থানীয় কাউন্সিলর রতন দে-কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গোটা এলাকা জঞ্জালে ভরে গিয়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘরেই কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত। কিন্তু, পুরসভার কোনও হেলদোল নেই।
[লিভার প্রতিস্থাপনে বেনিয়ম, শহরের হাসপাতালকে শোকজ]
পুজোর আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল শহরে। শুধু কলকাতাই নয়, শহরতলি ও লাগোয়া জেলায়ও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু পুজোর পর থেকে ধীরে ধীরে আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। শীতের ছোঁয়া লেগেছে বাতাসে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমবে। অর্থাৎ মাঝ নভেম্বর থেকেই শহরবাসীকে মাফলার, সোয়েটার বের করতে হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শীত বাড়লে মশার উপদ্রব কমবে। স্বাভাবিক নিয়মে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আর আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু, ঘটনা হল, এবার উলটো ঘটনা ঘটেছে। শীতের মুখে ফের শহরে মাথাচাড়া দিয়েছে ডেঙ্গুর আতঙ্ক। আতঙ্কিত যাদবপুরের বেঙ্গল ল্যাম্প এলাকার বাসিন্দারা। সেখানে গত তিনদিনে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ২ জন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জ্বরে আক্রান্ত কমপক্ষে ১৫ জন।
ঝাড়খণ্ডে বিয়ে হয়েছে বছর চব্বিশের গৃহবধূ দিশা বর্মণের। তাঁর বাপের বাড়ি যাদবপুরের প্রিন্স গোলাম হোসেন শাহ রোডে। পুজো ছুটিতে দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি এসেছিলেন দিশা। প্রায় এক সপ্তাহ জ্বরে ভোগার পর, বুধবার মারা যান তিনি। পরিবারের লোকেদের দাবি, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন দিশা। এর আগে সোমবার ওই এলাকায় বিনো চৌধুরি নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়। তিনিও জ্বরে ভুগছিলেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েই মারা গিয়েছেন বিনোদও। ফলে মশাবাহিত রোগের আতঙ্ক বেড়ে গিয়েছে বহুগুণ। শুক্রবার থেকে যাদবপুরের প্রিন্স গোলাম হোসেন শাহ রোডে মেডিক্যাল ক্যাম্প চালু করল প্রশাসন। এলাকায় জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজও শুরু হয়েছে। এদিকে পুরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে স্থানীয় কাউন্সিলর রতন দে-কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার লোকজন।
[ উত্তুরে হাওয়ায় গতি, এক ধাপে ৪ ডিগ্রি পারদ নেমে শীতের ছোঁয়া শহরে]