সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই পারদ চড়ছে রাজনীতির। এবার সংসদের অধিবেশনেও সেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ল।বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে মোদি সরকারকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O Brien), আগে দিল্লি সামলান তারপর বাংলা নিয়ে ভাববেন। সংসদে দাঁড়িয়ে এ ধরনের মন্তব্য একেবারে নজিরবিহীন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি সীমানায় লাগাতার দু’মাস ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা। সেই আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে লাগাতার তরজা চলছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে সংসদেও। তবে বৃহস্পতিবার সেই তর্কবিতর্ক নতুন মাত্রা পেল। এই বিতর্ক চলাকালীন বাংলার প্রসঙ্গ টেনে আনেন ডেরেক। মোদি সরকারকে তাঁর কটাক্ষ, “আগে দিল্লির পরিস্থিতি সামলান তারপর বাংলা নিয়ে ভাববেন।”
[আরও পড়ুন : দল বিরোধী মন্তব্য এবং সমর্থকদের উদ্ধত আচরণ! কানহাইয়া কুমারকে সতর্ক করল তাঁরই দল]
এদিন রাষ্ট্রপতির বক্তব্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপক বক্তৃতাতেও মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেন রাজ্যসভার তৃণমূল দলনেতা। তাঁর কথায়, “এটা এমন একটা সময় যখন ছোট ছোট স্বাধীনতার জন্যও কেন্দ্র সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত। মাইক্রোফোন এবং টিভির সম্প্রচার বন্ধ না করে, কিংবা সাংসদদের অধিবেশন থেকে বাইরে না বের করে দেওয়াটাও স্বাধীনতা বলে ধরতে হয়।” এদিন তিনি আরও বলেন, “কেন্দ্র সরকার একাধিক ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। নিজেদের অহংকারের জন্য সংসদের পবিত্রতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। যে কৃষকরা আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন আমি তাঁদের সমব্যথী।”
কৃষক আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছেন ভিনদেশী তারকারাও। তার পালটা সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ভারতীয় তারকার। অভিযোগ উঠছে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অন্য দেশের নাক গলানো উচিত নয়। এনিয়ে পালটা দিয়েছেন ডেরেক। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, “কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিক্রিয়ায় এখন আমরা স্পর্শকাতর হয়ে উঠছি। কিন্তু কে বলেছিলেন, “আব কি বার ট্রাম্প সরকার’? আর এখন আমরা বলছি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ?”