সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বকেয়া অর্থ নিয়ে আইএফএ-র (IFA) বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ আনলেও, কলকাতা লিগে খেলার পথ খোলা রাখল মোহনবাগান। সোমবার ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক সম্মেলন করে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানালেন, বকেয়া অর্থ প্রসঙ্গে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আইএফএ-র থেকে সরকারি বক্তব্য জানার জন্য অপেক্ষা করা হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত হবে মোহনবাগান (Mohun Bagan) এই মরশুমে কলকাতা লিগে খেলবে কি না।
আইএফএ-র নতুন সচিব অনির্বাণ দত্ত চেয়ারে বসার পর থেকেই বকেয়া অর্থ নিয়ে মোহনবাগান ও আইএফএ-র মধ্যে চিঠি চালাচালি চলছে। মোহনবাগানের দাবি, ইস্টবেঙ্গলের থেকে তাদের বকেয়ার পরিমাণ অনেক বেশি। আর তার জন্যই বারবার চিঠি দেওয়া হচ্ছে আইএফএ-কে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘নতুন সচিব আসার পর আমরা বকেয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি দিই। তারপর আইএফএ তাদের দুইজন সহ-সভাপতিকে আলোচনার জন্য পাঠিয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ZIM v IND: জলে গেল রাজা-ইভান্সের দুর্দান্ত লড়াই, জিম্বাবোয়েকে চুনকামের স্বপ্নপূরণ রাহুলের ভারতের]
তাঁরা আলোচনায় এসে বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে তাঁদের কোনও ক্ষমতাই নেই। আমি আর ওঁদের সঙ্গে সময় নষ্ট না করে ‘চা-ফিশফ্রাই’ খাইয়ে আপ্যায়ন করে দিই। যাঁদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে কেন সময় নষ্ট করব। এরপরই আইএফএ থেকে একটি চিঠি দিয়ে বলা হয়, সেপ্টেম্বরে বকেয়ার কিছু অর্থ দেওয়া হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত আইএফএ সচিব আমাদের সঙ্গে সরকারিভাবে কোনও মিটিং করেননি। এরপরও আমরা চিঠি দিয়েছি। কোনও লাভ হয়নি।’’
এদিন দেবাশিস দত্ত সাংবাদিক সম্মেলনে দুই জন ভেন্ডারকে বসিয়ে রেখেছিলেন যাঁরা মোহনবাগানের কাছে টাকা পান। তাঁদের দেখিয়ে মোহনবাগান সচিব বলেন, ‘‘আমি এঁদের চোখের দিকে তাকাতে পারছি না। আইএফএ বকেয়া না মেটালে কী করে টাকা দেব? এরপরেও আলোচনায় বসা তো দূর, আইএফএ সচিব বারবার করে বলছেন তাঁর কাছে অর্থ নেই। আইএফএ সচিব হিসাবে অর্থ না আনতে পারলে এটা তো তাঁর ব্যর্থতা। তবে আমরা এই মাসটা দেখব। দেখি, আইএফএ কী জানায়।’’
এই প্রসঙ্গে আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘‘দেবাশিস দত্তের কথা থেকে এটুকু বোঝা যায়, মোহনবাগান লিগে খেলতে চাইছে। আইএফএ-র গভর্নিং বডি দুইজন সহ-সভাপতিকে দায়িত্ব দিয়েছিল মোহনবাগানের সঙ্গে কথা বলার জন্য। তাঁরা এসে রিপোর্ট দেওয়ার পর আমি ফের মোহনবাগানকে চিঠি দিয়ে জানাই, কয়েকধাপে বকেয়া অর্থ দেব। আমাদের হাতে স্পনসর চলে এলে নিশ্চয়ই বেশি অর্থ দেওয়া হবে। স্পনসর না এলে কম অর্থ করে ধাপে ধাপে মেটানো হবে। আর মোহনবাগান যখন আলোচনায় বসতে চেয়েছে, তখন নিশ্চয়ই বসা হবে।’’
তবে দেবাশিস দত্তের ‘চা-ফিশফ্রাই’ খাওয়ানোর বলার ভঙ্গিটি ভাল লাগেনি আইএফএ-র অন্যতম সহ-সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রসঙ্গে কড়া মন্তব্য করা উচিত সচিব অনির্বাণ দত্তের। আমাদের আইএফএ থেকে পাঠানো হয়েছিল। কেউ আমাদের অপমান করলে তার জবাবটাও আইএফএ সচিবের দেওয়া উচিত।’’