shono
Advertisement

চিটফান্ডের ২ হাজার কোটি টাকা কোথায় লুকনো? ধৃত শান্তি সুরানাকে জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

টাকা কি বিদেশে পাচার করা হয়েছে? ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার ব্যাংকের নথিপত্র।
Posted: 04:03 PM Apr 24, 2022Updated: 04:06 PM Apr 24, 2022

অর্ণব আইচ: একাধিক ক্ষেত্রে লগ্নির ফাঁদ পেতে শহরের বয়স্ক নাগরিকদের কাছ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা তুলেছিলেন চিটফান্ডের (Chitfund) নামে। অবশেষে DEO’র হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে সুরানা গোষ্ঠীর কর্তা শান্তি সুরানা। শুক্রবার তাকে বালিগঞ্জের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপাতত তিনি রয়েছেন জেল হেফাজতে। শান্তি সুরানাকে (Santi Surana) এবার জেরায় চিটফান্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা। ওই ২ হাজার কোটি টাকার হদিশ পেতে তাঁকে টানা জেরা করছেন আধিকারিকরা। তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মিলছে একাধিক তথ্য।

Advertisement

২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত শহর কলকাতার বৃদ্ধদের টার্গেট করে হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে শান্তি সুরানার বিরুদ্ধে। এর আগে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কাছে তাঁর নামে মামলা করা হয়েছিল। সেসময় একাধিক তথ্য ইডির (ED) হাতে এসেছিল। আর এবার তাঁকে জেরা করে সেসব তথ্য মেলানোর উদ্দেশে কাজ করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের জানার মূল বিষয়, বাজার থেকে আত্মসাৎ করা এই ২ হাজার কোটি টাকা কোথায়? তা কি হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়েছে? নাকি তা কোনও গোপন জায়গায় লুকনো? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ডিরেক্টর অফ ইকনমিক অফেন্স বা DEO।

[আরও পড়ুন: ‘ভূস্বর্গের তরুণদের আর কষ্ট পেতে দেব না’, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রথম কাশ্মীর সফরে দাবি মোদির]

জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে শান্তি সুরানা রিয়েল এস্টেট (Real Estate) ও গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থায় বিনিয়োগের কথা জানিয়ে আমানতকারীদের থেকে টাকা আদায় করতেন। তাঁকে ভরসা করে কেউ ৫০ হাজার টাকা, কেউ বা ১০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। কথা ছিল, সেসব ফেরত পেয়ে লাভবান হবেন। কিন্তু বাস্তবে তা তো হলই না। উলটে আর্থিক তছরূপের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন শান্তি সুরানা। প্রতারিতরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে সুরানা জানিয়েছিলেন যে বাজার থেকে পাওয়া ৭০ শতাংশ টাকাই তিনি রিয়েল এস্টেটে লগ্নি করছেন।

[আরও পড়ুন: একদিনে হরিদেবপুরের ঘটনার কিনারা, ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই অটোয় রাখা হয় বোমা]

এখন প্রশ্ন হল, এত বিপুল অর্থ তিনি কোথায় রেখেছেন? কী সেই রিয়েল এস্টেট, কোথায়ই বা গয়না প্রস্তুতকারক সংস্থা? এসব জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। তাঁর বালিগঞ্জের বাড়িতেও তল্লাশি চলেছে। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। যা থেকে প্রাথমিক অনুমান, ওই বিপুল অর্থ হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশি ব্যাংকে পাচার হয়েছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই তারই বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। সোমবার সুরানাকে ফের আদালতে পেশ করার কথা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement