বিশেষ সংবাদদাতা: টলিউড সুপারস্টার দেব কি রাজনীতিকে বিদায় জানাতে চলেছেন? দিন কয়েক ধরেই জল্পনা তুঙ্গে। উপরন্তু সংসদে শেষ দিনে দাঁড়িয়ে তাঁর গলায় যে বিদায়ী সুর শোনা গিয়েছে, তাতে জল্পনা আরও জোরাল হয়েছে বই থামেনি! দেবের অবস্থান নিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহলেও চাপানোতর। এবার শোনা গেল, শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব(Dev)।
সামনেই লোকসভা ভোট। আর ভোটপ্রচারের ময়দানে তারকামুখ নিয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক শিবিরেরই একটা বিশেষ কৌশলী থাকে। সেই প্রেক্ষিতে দেব চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন কি না, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা, কৌতূহল। আর সেই জল্পনার যজ্ঞে ঘৃতাহুতি দিয়েছে, দেবের সাম্প্রতিক বেশ কিছু মন্তব্যে প্রকাশ পাওয়া রাজনীতির প্রতি অনীহা। তবে মুখ্যমন্ত্রীর ‘গুড বয়’ ফের প্রার্থী হচ্ছেন কিনা সম্ভবত তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকেই চূড়ান্ত হবে। এদিকে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “দেব তৃণমূলে ছিলেন। তৃণমূলেই থাকছেন।”
[আরও পড়ুন: ‘ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানটা দেখুন’, শেষ দিনেও সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি দেবের]
সম্প্রতি দেবের বিরুদ্ধে এক অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ তিনি। এপ্রসঙ্গে তারকা সাংসদ দিল্লি থেকেই জানিয়েছিলেন যে, “দিদিকে জানিয়েছি সবটা।” এবার অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন তিনি। দিন কয়েক আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফেও ‘গুড বয়’ সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন দেব। তারপরই গত ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি থেকে আরও এক ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন দেব। সংসদ থেকে নিজের আসনের ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, “আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা!” এপ্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, “দেব দলের অত্যন্ত সক্রিয় একজন কর্মী। তৃণমূল সাংসদ হিসেবেই তিনি লোকসভায় রয়েছেন। দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে কি না, সেই জল্পনার কোনও অবকাশ আমি অন্তত দেখতে পাচ্ছি না।”
শুধু তাই নয়, শুক্রবার অধিবেশনের বিদায়ী ভাষণেও দেবের মুখে শুধুই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা, নিজস্ব সংসদীয় এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে তাঁর কাতর আর্জি, “সাংসদ হিসেবে আমি থাকি বা না থাকি, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানটা যেন বাস্তবায়িত হয়। ঘাটালের প্রতিটা মানুষ যেন ভালো থাকে। যাঁরা আমাকে ভোট দিয়েছেন তাঁদেরকেও ধন্যবাদ। যাঁরা আমাকে ভোট দেননি তাঁদেরকেও ধন্যবাদ।”