সুকুমার সরকার, ঢাকা: চাকরির টোপ দিয়ে ঢাকার পোশাক কারখানার শ্রমিক এক তরুণীকে এপার বাংলায় আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করার অভিযোগে এক দম্পতি আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধেয় নির্যাতিতা তরুণীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করে বনগাঁ সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ। আটকরা হল বিক্রমপুরের (মুন্সিগঞ্জ) আনোয়ার হোসেন (৪৩) এবং তার সহযোগী নোয়াখালী সদরের আন্দারচর এলাকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে হালিমা আখতার (২৭)।
যৌন নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানায়, সে ঢাকার একটি গার্মেন্টসের দোকানে চাকরি করার সুবাদে পরিচয় হয় আনোয়ারের স্ত্রীর সঙ্গে। পরে পরিচয় হয় আনোয়ারের সঙ্গে। আনোয়ার মাঝেমধ্যেই তার দোকানে আসা যাওয়া করত। একদিন সে তাকে বলে ভারত থেকে থ্রি-পিচ কিনে বাংলাদেশে নিয়ে আসলে ভাল ব্যবসা হবে। গত ২৬ মার্চ আনোয়ারের স্ত্রী ও তার সহযোগী হালিমা তাকে সঙ্গে করে কলকাতায় নিয়ে আনোয়ারের কাছে রেখে চলে আসে। পরে কলকাতার নোভা নামে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে আনোয়ার তাকে দেহ ব্যবসা করতে চাপ সৃষ্টি করে। এতে সে আপত্তি জানালে তাকে খুনের হুমকি দেয়। এছাড়া বলে, জীবনে আর কোনওদিন দেশে ফিরতে পারবে না। পরে আটকে রেখে জোর করে একাধিক মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে বাধ্য করে।
এভাবে কলকাতায় ৯ দিন ও বনগাঁর মায়ের আশীর্বাদ আবাসিক হোটেলে ৫ দিন তাকে আটকে রেখে দেহ ব্যবসা করায় আনোয়ার। মঙ্গলবার সন্ধেয় নির্যাতিতার সঙ্গে দুই প্রতারক বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরে আসে। এসময় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তার প্রতি অমানবিক দৈহিক নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরে ওই তরুণী। অভিযোগের ভিত্তিতে, ইমিগ্রেশন পুলিশ অভিযুক্ত দুই প্রতারককে আটক করে। পরে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) খাইরুল ইসলাম জানায়, তারা লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে অভিযুক্ত দুই অপরাধী ও নির্যাতিত তরুণীকে পোর্ট থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
The post ঢাকার তরুণীকে কলকাতায় আটকে রেখে দেহ ব্যবসার অভিযোগ, আটক দম্পতি appeared first on Sangbad Pratidin.