সুকুমার সরকার, ঢাকা: পুজোমণ্ডপে নাশকতার আশঙ্কা। পুলিশকর্মীদের সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মহম্মদ শফিকুল ইসলাম। রাজনীতির নামে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ালে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে কমিশনার ইসলাম বলেন, “পুজোমণ্ডপে যাতে কোনও ধরনের নাশকতা না ঘটে সে জন্য প্রতিমা তৈরির স্থান ও সব মণ্ডপে পর্যাপ্ত ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি আনসার সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে। পুলিশকেও পূজা চলাকালে মণ্ডপে থাকতে হবে। তিনি আরও জানান, শান্তিপূর্ণভাবে কোনও ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করলে পুলিশ তাতে বাধা দেবে না। তবে রাজনীতির নামে যারা আগুন লাগাবে বা সন্ত্রাস ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপুজো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে ডিএমপির সকল পুলিশ ইউনিটকে সদা সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’র চেষ্টা! হাসিনাকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ শাহবাজ শরিফের]
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আশঙ্কা উসকে, গত রবিবার বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের কাশীপুর দুর্গামন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়। সকালে স্থানীয়রা মন্দিরে প্রবেশ করে ভাঙা অবস্থায় প্রতিমা দেখতে পান। ওই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে হিন্দুদের মধ্যে। তারপরই পুলিশ কমিশনারের মন্তব্যে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন সংখ্যালঘুরা বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজোর মণ্ডপে একের পর এক হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তারপর দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কয়েকদিন আগেও ঢাকায় হাসিনা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ এবং বাংলাদেশ পুজো উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়কে আমি এটাই বলব আপনারা এদেশের মানুষ। কাজেই নিজেদেরকে সংখ্যালঘু মনে না করে, মনে করবেন আপনারা এই দেশেরই নাগরিক। তাই সমানভাবে নাগরিক অধিকার আপনারা ভোগ করবেন এবং আমরাও সেইভাবে আপনাদেরকে দেখতে চাই।”