রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ধর্মতলায় এবার হতে চলেছে ধর্মঠাকুরের পুজো। আয়োজক বঙ্গ কুম্ভ মেলা। বকলমে এই ধর্মীয় কর্মসূচির পিছনে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের বিভিন্ন সংগঠন। রয়েছে বিজেপিও। এই পুজোয় অংশ নেবেন সাধুরা।
৫ থেকে ৯ মে, পাঁচদিন ব্যাপী ধর্মঠাকুর পুজো মহোৎসব হবে। সাধুসন্ত সমাবেশ, মেলা, পুজাপাঠ, যাগযজ্ঞ, সাধুসন্তের প্রবচন, সন্ধ্যা আরতি, ভজন-কীর্তন থেকে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রথমে বাগবাজার ঘাটে হবে স্নান। সেখান থেকে মিছিল করে আসা হবে ধর্মতলায়। আয়োজকদের বক্তব্য, সর্বধর্ম সমন্বয় প্রাণপীঠের সাধনা এই ধর্মতলা, প্রাচীন কাল থেকে ধর্মতলা পূণ্যভূমি, সার্বজনীন পুজো হত। এই পূণ্যভূমিতে প্রতিদিন কতরকম উৎসব ও আন্দোলন সভা হয়। এই মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে বঙ্গের বিভিন্ন মঠ—মিশন—আশ্রম—ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
[আরও পড়ুন: মালদহের স্কুলে ‘বন্দুকবাজ’: নেপথ্যে দিল্লির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী, সতর্ক থাকার পরামর্শ]
কলকাতায় হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাইছে বঙ্গ কুম্ভ মেলা। কলকাতার মহানির্বান মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সর্বানন্দ অবধূত মহারাজ জানিয়েছেন, “ধর্মতলার প্রাচীন ঐতিহ্য—ইতিহাসকে জাগরিত করার জন্যই এই উদ্যোগ। ধর্মঠাকুরের পুজোর জন্যই এই অঞ্চলের নাম হয়েছিল ধর্মতলা।” কলকাতা প্রেস ক্লাবের পাশে যে জলাশয় রয়েছে, সেই মনোহর দাস তরাগ প্রাঙ্গণে ধর্মঠাকুরের পুজো হবে। এই ধর্মঠাকুরের পুজোর পিছনে বিজেপির পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদও রয়েছে। তাই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এই কর্মসূচি হিন্দুত্বের অস্ত্রে শান দেওয়ার চেষ্টা। তা মানতে নারাজ অবশ্য গেরুয়া শিবির। নমামী গঙ্গে টিমের আহ্বায়ক তথা বিজেপি নেতা গোপাল সরকারের দাবি, ‘‘এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান অরাজনৈতিক। ধর্মতলায় ধর্মপুজো হবে না, এটা হতে পারে না। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে পূর্ব এশিয়ার প্রাণকেন্দ্র ছিল এই ধর্মতলা।’’
অন্যদিকে, এই ধর্মঠাকুর পুজো নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে সিপিএম। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘ বিজেপি এখন মনে করছে তাদের আমলেই নাকি হিন্দুরা বিপদে পড়েছে। ধর্মতলার নাম ধর্মকে কেন্দ্র করে হয়নি। কিছুই জানে না বিজেপি।’’