শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: রাত পোহালেই ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন। রাজ্যের একটামাত্র বিধানসভার উপনির্বাচন হলেও শাসকদল ও গেরুয়া শিবিরে টানটান উত্তেজনা। প্রেস্টিজ ফাইটে তৃণমূল-বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের হাতে থাকবে ধূপগুড়ি নাকি ফুটবে ঘাসফুল? মঙ্গলবার দুই শিবিরেরই শক্তিপরীক্ষা জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে।
মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হচ্ছে ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। সন্ধে সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। সোমবার সকাল থেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জলপাইগুড়ি ক্যাম্পাসের ডিসিআরসি সেন্টার থেকে ইভিএম নিয়ে ভোট কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন ভোট কর্মীরা। ধূপগুড়ি র ২৬০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। জলপাইগুড়ির জেলা শাসক তথা নির্বাচন আধিকারিক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ওয়েব ক্যামেরা রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সঙ্গে প্রায় আটশো পুলিশ কর্মী।ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ১২০০ জন ভোট কর্মী।
[আরও পড়ুন: ঝাঁকে ঝাঁকে রুশ ড্রোনের হামলা ইউক্রেনের বন্দরে, দুনিয়াজুড়ে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা]
ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে লড়াই এখানে ত্রিমুখী। সম্মুখ সমরে তৃণমূল,বিজেপি এবং বাম কংগ্রেস জোট। একুশে ধূপগুড়ি বিধানসভা আসন হাতছাড়া হলেও সদ্য শেষ হওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে অনেক বেশি প্রত্যয়ী ঘাসফুল শিবির। বিজেপির কাছে জেতা আসন ধরে রাখাই এখানে চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে সাগর দিঘি মডেল এখানেও ফল দেবে এই আশায় বুক বেধেছেন বাম কংগ্রেস নেতারা। শেষপর্যন্ত ২ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪১৬ জন ভোটার কার পক্ষে রায় দেন জানতে অপেক্ষায় থাকতে হবে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।