সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে মুখ খুলল রাশিয়া। ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপোভের বক্তব্য, বছর তিনেক আগে ঘটা ওই সংঘাতের পর দুই পড়শি দেশের মধ্যে গোটা আলোচনা প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার সংবাদ সংস্থা এএনআইর প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত আলিপোভ বলেন, “রাশিয়া, চিন ও ভারতের মধ্যে ত্রিস্তরীয় আলোচনার ব্যবস্থা রয়েছে। ২০২০ সালের আগে তা খুবই সক্রিয় ছিল। তবে গালওয়ান সংঘর্ষের পরে দুই পড়শি দেশের মধ্যে গোটা আলোচনা প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে। তবে এই সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। এই ত্রিস্তরীয় আলোচনা ব্যবস্থার মাধ্যমে দুই দেশ নিজেদের মতানৈক্য দূর করতে পারবে বলেই আমরা বিশ্বাসী।”
[আরও পড়ুন: ভারতে আসুন জিনপিং, চাইছেন বাইডেন, কেন?]
বিশ্লেষকদের মতে, গালওয়ানে লালফৌজের সঙ্গে ভারতীয় জওয়ানদের লড়াইয়ের পর যুদ্ধ বাঁধার উপক্রম হয়েছিল ভারত ও চিনের। আর দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে লড়াই বাঁধলে তার প্রভাব হত ভয়াবহ। কিন্তু পর্দার আড়ালে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আলোচনার টেবিলে ফিরে আসে দুই দেশ। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গালওয়ানের পর ভারত আরও দ্রুত আমেরিকার অক্ষে ঢুকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছিল রাশিয়া। তাই বেজিংকে ভবিষ্যতের কথা মনে করিয়ে দিয়ে কূটনীতির পথে হাঁটার উপদেশ দেয় মস্কো।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় (Galwan Valley) মুখোমুখি হয় ভারত ও চিনের ফৌজ। দু’পক্ষের জওয়ানরাই লোহার রড ও কাঁটাতার জড়ানো হাতিয়ার নিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা লড়াই করে। রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। ১৯৭৫ সালে পর এই প্রথম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পরেই সীমান্তে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েক দফা আলোচনায় বসে দুই দেশের সেনাবাহিনী। তবে তাতে আঁচ কিছুটা কমলেও উত্তেজনা কমেনি।