shono
Advertisement

ছাড়ের হার বাড়ালেই কি বাজার ধরা যায়? বিপণির সজ্জা নিয়ে উদাসীন বাঙালি প্রকাশকরা

কলকাতা বইপাড়া কি আদৌ ভাবতে চায় এসব নিয়ে?
Posted: 02:36 PM Jul 20, 2023Updated: 02:41 PM Jul 20, 2023

বিক্রয়ের উদ্দেশ্য নিয়েই বই যেহেতু বাজারে আসে, তাই পণ্য হিসাবে তার ক্ষেত্রেও বিপণির সজ্জা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। কিন্তু দেখা যাবে, ‘ওয়্যারহাউস’ আর ‘বুকস্টোর’-এর ফারাক আমাদের বোধগম্যতার বাইরে। ছাড়ের হার ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে বাজার ধরার প্রয়াসী কলকাতা বইপাড়া (College Street) কি আদৌ ভাবতে চায় এসব নিয়ে? লিখলেন সুস্নাত চৌধুরী

Advertisement

বাৎসরিক মেলা কিংবা সাপ্তাহিক হাট, বেচা-কেনার পরিসরে ‘পশরা সাজানো’ কথাটি বহু কালই বাংলার পরিচিত লব্‌জ। অর্থাৎ, বিক্রয়যোগ্য সামগ্রী দোকানি শুধু নিয়ে বসলেই চলবে না, ‘সাজিয়ে’ বসতে হবে! পাড়ার ছোটখাটো সবজি বাজার বসার মুখেও লক্ষ করে দেখেছি, এমন দু’-একজন বিক্রেতা ঠিকই থাকেন, যাঁরা নিছক ডাঁই না করে প্রত্যহ পরম যত্নে ও নিবিষ্ট চিত্তে আনাজগুলি যেন নির্দিষ্ট রীতি মেনে তাঁদের সামনে একে একে সাজিয়ে রাখেন। ধরা যাক, ফুলকপির পাশে ক্যাপসিকাম, তার পাশে গাজর– নানা রঙের সমান্তরাল বিন্যাস তখন নজর কেড়ে নেয়। অনেকে আবার একই সবজির উল্লম্ব সজ্জায় বৈচিত্র এনে তাক লাগান।

এসব বাড়তি ঝঞ্ঝাট কেন পোহান তাঁরা? সম্ভাব্য ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাওয়া যদি বাইরের কারণ হয়, তাহলে ভিতরের কারণটি বোধ হয় নিজের কাজের প্রতি ভালবাসা।
বিক্রয়ের উদ্দেশ্য নিয়েই বই যেহেতু বাজারে আসে, তাই পণ্য হিসাবে তার ক্ষেত্রেও বিপণির এই সজ্জা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। কিন্তু সর্বদা তেমন হয় কি? বস্তুত ওই বাইরের কারণ আর ভিতরের কারণ একযোগে কার্যকরই হয়ে ওঠে না। হয় আমরা ভালবাসার আবেগে ভেসে যাই, নচেৎ যেনতেন ‘মাল বেচে’ লগ্নি ঘরে তুলতে চাই। ফলে ‘ওয়্যারহাউস’ আর ‘বুকস্টোর’-এর ফারাক আমাদের বোধগম্যতার বাইরে থেকে যায়।

[আরও পড়ুন: চিনা ফৌজের আগ্রাসন রুখতে নয়া ‘অস্ত্র’ বায়ুসেনার হাতে, C295 বিমান আসছে সেপ্টেম্বরে]

বাঙালির বই-ব্যবসার আরও অনেক কিছুর মতো অধিকাংশ দোকানে বই সাজানোর ক্ষেত্রটিতেও যত্ন, নিষ্ঠা ও তৎপরতার অভাব হয়ে পড়ে স্পষ্ট। এই কাজে উদ্ভাবনী শক্তি বা প্রয়োজনীয় দক্ষতা আয়ত্ত করতেও সচেষ্ট হন খুব কমজনই। বইমেলার স্টল হোক বা কলেজ স্ট্রিটের গুমটি, উল্লম্ব তাক কিংবা অনুভূমিক টেবিল– কীভাবে কোথায় সাজানো থাকবে বইপত্র, এ নিয়ে বিক্রেতাদের সচেতনতা সচরাচর তেমন একটা দেখা যায় না। অথচ বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি, ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা আর সজ্জারীতির বিবিধ নিরীক্ষা একত্রে প্রযুক্ত হলে বইয়ের বিপণন ও বিক্রির দিকটিতে প্রভাব পড়তে বাধ্য।

যদিও সেজন্য প্রথমেই প্রয়োজন এই আপাত অকিঞ্চিৎকর ব্যাপারটিকে বই-বিক্রেতার বিবেচনা ও ভাবনাচিন্তার পরিধিতে নিয়ে আসা। বিষয়ভিত্তিক না কি প্রকাশনাকেন্দ্রিক– পাঁচমিশালি বইয়ের কারবারি কীভাবে পরপর বিন্যস্ত করবেন বইগুলি? উন্মুক্ত প্রচ্ছদে কোন বই কখন সামনে রাখবেন আর কাকে ঠেলে দেবেন ঈষৎ পিছনে, স্পাইনের সারির মাঝে? কত দিন অন্তর বিপণির সামগ্রিক বিন্যাসে কিছুটা হলেও বদল আনা হবে? ছাড়ের হার ক্রমান্বয়ে বাড়িয়ে বাজার ধরার প্রয়াসী কলকাতা বইপাড়া কি আদৌ ভাবতে চায় এসব নিয়ে!

[আরও পড়ুন: সংসদে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা মোদির, কী কথা হল?]

‘কমিউনিকেশন’-এর শর্ত মেনে বইয়ের ‘ডিসপ্লে’ বা প্রদর্শন ভোক্তার প্রতি ক্রিয়াশীল হয় মূলত তিনটি ধাপে। ‘অ্যাটেনশন’, ‘অ্যাট্র্যাকশন’ ও ‘এনগেজমেন্ট’। নজরে পড়া, আকর্ষণ করা, এবং সক্রিয় সংযোগ স্থাপন। এর মধ্যে তৃতীয়টিকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ‘প্রতিক্ষণ’ প্রকাশনার নির্বাহী সম্পাদক শুদ্ধব্রত দেব। সম্প্রতি ৪০ পেরল সংস্থাটি; মাস কয়েক হল কলেজ স্ট্রিটে শুরু হয়েছে তাদের নতুন বুকস্টোর– ‘প্রতিক্ষণ বই-চা-ঘর’। সেখানে বই সাজানোর ক্ষেত্রেও এমন বহুবিধ বিষয় মাথায় রেখেছে তারা। কোনও একটি নির্দিষ্ট বইয়ের প্রচার যখন করতে চায়, তখন সেটিকে খুব সুস্পষ্ট অবস্থানে রাখে। প্রচ্ছদটি থাকে বাইরের দিকে, খোলা। শুধু তা-ই নয়, কেউ আগ্রহী হয়ে সেদিকে এগিয়ে গেলে আশপাশের বইগুলিও তার নজরে পড়তে বাধ্য, কাজেই সেগুলোও যাতে ওই নির্দিষ্ট বইটির সাপেক্ষে বিষয়গতভাবে বিসদৃশ না ঠেকে, তা লক্ষ রাখতে হয়। আবার বিষয় ধরে সাজালেও তারা মাথায় রাখে প্রচ্ছদের বর্ণবিন্যাসের দিকটি। পাশাপাশি থাকা বইয়ে রঙের বৈপরীত্য যাতে যথাসম্ভব বজায় থাকে, তা দেখতে হয়। বইয়ের সংখ্যা যত বাড়ে, কাজটিও তত দুষ্কর হয়ে পড়ে। বিপণিতে বইয়ের মোট সংগ্রহ আর বাছাই বইপত্রের মধ্যে একটা ভারসাম্য রেখেই ‘ডিসপ্লে’-র কাজটি চলে। বইয়ের গুরুত্ব এবং আয়তনও সেখানে বিশেষ ভূমিকা নেয়। কারণ, দু’টি ভারী বইয়ের মাঝে একটি ছোট্ট বই গুঁজে দিলে সেই বইটিই শুধু হারিয়ে যায় না, পাশের বই দু’টিরও যে ওজন কমে, তা অনুধাবন করা জরুরি বলেই মনে করে তারা।

এত কিছু বিবেচনায় রাখলেও বুকস্টোরের সামগ্রিক আবহ তৈরির ক্ষেত্রে কিছুটা ঘরোয়া থাকারই পক্ষপাতী প্রতিক্ষণ। একেবারে নিক্তিমাপা ঝাঁ-চকচকে পরিসরের বদলে সচেতনভাবেই তারা চেয়েছে যে, চারপাশটা দেখে যাতে খুব গোছানো বলে না মনে হয়। অনেক সময় তাই তাকের পাশে মেঝেতেও বইপত্র ঈষৎ অবিন্যস্তভাবে রাখা থাকে। এর ফলে পাঠক বা ক্রেতা স্বস্তি অনুভব করে, দ্বিধাহীনভাবে দু’টি-চারটি বই টেনে নিয়ে নিজের মতো করে দেখতে পারে। অসম্ভব রকমের সৌকর্য প্রতিষ্ঠার তুলনায় কোনও কিছু যাতে অন্তত বিসদৃশ না লাগে, সেটুকু বজায় রাখাই তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। সেভাবেই চলে নান্দনিকতা আর উপযোগিতার ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা।

সাজানোর এই রীতি আবার আমূল বদলে যায় বইমেলার স্টলের ক্ষেত্রে। তখন ভিড় থাকে বেশি, ক্রেতার হাতে সময় থাকে কম। সবচেয়ে বড় কথা, তার চারপাশে থাকে শতাধিক প্রকাশনার সহস্রাধিক বইয়ের হাতছানি। এই শর্তগুলি মাথায় রেখেই ঠিক করতে হয় মেলার বইয়ের সজ্জা, স্টলের সামগ্রিক নকশা। আবার হালফিলের অনলাইন বিক্রির ক্ষেত্রে প্রদর্শনের পদ্ধতি হওয়া উচিত ভিন্নতর– চিরাচরিত ধারণার বদলে স্বাভাবিকভাবে তা নির্ধারিত হওয়া দরকার সেই মাধ্যমেরই যুক্তিক্রম মেনে। ওয়েবসাইটের হোমপেজের বিন্যাস, ক্ষুদ্রকায় নমুনা-ছবি থেকে যে কোনও বই স্পষ্ট চিনে নিতে পারা, প্রতিটি প্রকাশনার পেজে বইয়ের নির্দিষ্ট সজ্জাক্রম, বই বাছতে প্রাসঙ্গিক ফিল্টারের ব্যবহার– এই বিষয়গুলি কি বিশেষ ভাবনাচিন্তার ফুরসত দাবি করে না? এমনকী, বইয়ের প্রচ্ছদপটের পরিকল্পনা, তার স্পাইনের নকশাও এখন হওয়া উচিত অফলাইন ও অনলাইনে যথাযথ ‘ডিসপ্লে’-র জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি বিবেচনায় রেখে। সর্বত্রই ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা বই বিপণনের নির্দিষ্ট কিছু ‘থাম্বরুল’ থাকে বটে, কিন্তু বিক্রেতা বা প্রকাশনাভেদে তা খানিক বদলে যেতেও বাধ্য। কাজেই বইয়ের রকমফের, বিপণির আয়তন, ক্রেতার রুচির ধরন– এসব খুঁটিনাটি বিচার করে বিক্রেতা তার নিজস্ব বই সাজানোর পদ্ধতিটি রূপায়ণে সচেষ্ট হতে পারে। তাতে লাভ বই লোকসান নেই!

শুধু বইয়ের সজ্জা নয়, সামগ্রিক গ্রন্থবিপণিটিও কখনও হয়ে ওঠে থিম-নির্ভর বা বিশেষভাবে সজ্জিত। যেমন, ‘অভিযান বুক ক্যাফে’। বাংলা মুদ্রণ ও প্রকাশনার ইতিহাসকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে কলেজ স্ট্রিটের এই বইঠেকটি। একটি পূর্ণাঙ্গ ট্রেডল মেশিন প্রায় ইনস্টলেশনের মতো তার ভিতরে জায়গা করে নিয়েছে। চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেটের মতো বাংলাদেশের একাধিক শহরেও আজ যেমন আলো ছড়াচ্ছে ‘বাতিঘর’-এর থিমভিত্তিক সুবিশাল সব বুকস্টোর। ধীরে-সুস্থে দু’-চারটে বই পাতা উল্টে দেখার সুযোগ মিলছে এ-ধরনের বিপণিতে। কিছুটা সময় গড়ালেই কর্মীদের মুহুর্মুহু তাড়া দেওয়া নেই, দোকানির কটুকথা নেই। অতীতে এপারে যে ব্যতিক্রমী পরিবেশ গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছিল ‘সুবর্ণরেখা’। নতুন পাঠক তৈরিতে, ক্রেতাকে আকর্ষণ করতে এই ধরনের সুষ্ঠু আয়োজন আজও জরুরি।

একদা বিশেষ বিশেষ বইয়ের প্রচারে নাকি ‘সিগনেট’ বুকশপের আগাগোড়াই ভোল বদলে দিতেন দিলীপকুমার গুপ্ত। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তর ‘পরমপুরুষ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ’ বেরনোর সময় গোটা দোকানটাকেই প্রায় মুড়ে দেওয়া হয়েছিল সিল্কের নামাবলি দিয়ে। তাকে বইয়ের ফাঁকে ফাঁকে গাঁজার কলকে উলটো করে বসিয়ে তার উপরে রাখা হয়েছিল কাগজের লাল জবা। ‘ডি. কে.’ প্রসঙ্গে পূর্ণেন্দু পত্রী লিখছেন– “কী ভাবে পাঠক বা ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে হয়, গড়তে হয় নতুন পাঠক বা ক্রেতা– সেদিকটাও ভুল করেননি ভাবতে। মধ্য এবং দক্ষিণ কলকাতায় সিগনেট প্রেসের তখন দু’-দুটো দোকান। বইয়ের দোকান বলতে এর আগে আমরা যা জানতাম, আমাদের সেই তিক্ত-বিরক্ত অভিজ্ঞতাটাকেও উলটে পালটে তছনছ ক’রে দিলেন তিনি।… তখন প্রতি পক্ষে অর্থাৎ পনেরো দিন অন্তর-অন্তর পালটে যেতো এই দুটো দোকানের পুস্তকসজ্জা। মুগ্ধ হ’য়ে দেখার মতো। কোনো পক্ষে লেখকদের ফটোগ্রাফ, কোনো পক্ষে আশ্চর্য ধাতুমূর্তি, কোনো পক্ষে শৌখিন ও মূল্যবান ফুলদানি, কোনো পক্ষে অঁাকা-জোকা, এইভাবে নিয়ত বদলে যাচ্ছে বুক-র‌্যাকের শ্রী-সৌন্দর্য।… দোকানের এই পরিবর্তনশীল অঙ্গসজ্জার ব্যাপারেও তিনি নির্ভর করতেন যোগ্য শিল্পীদের উপর। শুনেছি কমলকুমার মজুমদার কিছুদিন দায়িত্ব নিয়েছিলেন এই কাজের। এছাড়া ক্ল্যারিয়নের দু-একজন শিল্পীর উপরও বর্তেছিলো ওই দায়-দায়িত্ব। সব শেষে আমি।’

এসব ক্ষেত্রে মনে হতে পারে, প্রশ্নটা বুঝি স্রেফ সুযোগ বা সামর্থ্যের। তা নয়; বরং অত্যাবশ্যক হল সচেতনতা, উদ্যম– নিছক মধ্যস্বত্বভোগীর স্তরটি অতিক্রম করে নিজেকে দেখতে চাওয়া। তখন ক্ষুদ্র পরিসরেও চাইলে সম্ভাবনার বিস্তার ঘটানো যায়। ‘কিউরেশন’ ও ‘ডিসপ্লে’ সেখানে নিতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কলকাতায় গত একদশকে লিট্‌ল ম্যাগাজিন ও সেই সংক্রান্ত প্রকাশনার চেনা ঠিকানা হয়ে উঠেছে ধ্যানবিন্দু। সীমিত জায়গার মধ্যেও নানা ধরনের বইপত্রর উপস্থিতি, দৃষ্টিগ্রাহ্যতার ভিতরেই সেসব আঁটিয়ে নিতে বিবিধ উপায় অবলম্বনের প্রয়াস সেখানে লক্ষণীয়। তাদের প্রধান কর্মচারী সুধন্য সরকারের বক্তব্য, বইয়ের দোকান ক্রেতার মন ও মননের বিস্তার ঘটায়। যথাযথ ‘ডিসপ্লে’ তার চিন্তা ও চেতনাকে একদিক থেকে আরেক দিকে ঠেলে দেয়। দোকানির এই বোধ শুধু পাঠকেরই হিতসাধন করে না, বই ব্যবসারও শ্রীবৃদ্ধি ঘটায়।

অনেকেই দেখেছি নিজস্ব বইয়ের তাকে সার দেওয়া উল্লম্ব স্পাইনের প্রেক্ষাপটে একটি-দু’টি বই সোজাসুজি সামনে এনে রাখে। সময়ে সময়ে তা আবার বদলেও যায়। এর নেপথ্যে বোধ হয়, থাকে ব্যক্তিগত পছন্দের জানান দেওয়া। তা যেন একটি বইকে সমর্থনের নীরব স্টেটমেন্ট হয়ে ওঠে। অতীতে যেমন শঙ্খ ঘোষ কিংবা ভাস্কর চক্রবর্তীর বইয়ের তাকে নজর ফেলে অনেক সময়ই এরকমটা মনে হয়েছে। শুধু ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে নয়, ভাল বইয়ের প্রতি এই প্রচ্ছন্ন পক্ষপাত ও সেটিকে প্রদর্শনের প্রবণতা বাংলার বই ব্যবসারও অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসাবে জরুরি ভূমিকা নিতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement