রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নিউ দিঘায় (New Digha) হোটেল থেকেই উদ্ধার হোটেল মালিকের দেহ। খুন করা হয়েছে বলেই অনুমান পুলিশের। কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কেনই বা খুন করা হয়েছে তাঁকে, উঠছে সেই প্রশ্ন।
ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠা অভ্যেস সুব্রত সরকার নামে ওই হোটেল মালিকের। শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা বেজে গেলেও তাঁকে ঘুম থেকে উঠতে দেখেননি কেউই। তাই হোটেল কর্মীরা তাঁকে ডাকতে যান। হাজার ডাকাডাকিতেও ঘুম থেকে ওঠেননি সুব্রতবাবু। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাকাডাকি শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। তা সত্ত্বেও দরজা খোলেননি তিনি। বাধ্য হয়ে ভাঙা হয় ঘরের দরজা। ঘরের ভিতরে ঢুকে কার্যত তাজ্জব হয়ে যান সকলে। দেখেন লণ্ডভণ্ড বিছানা। গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন হোটেল মালিক। মুখে বালিশ চাপা ছিল তাঁর। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
[আরও পড়ুন: বহু আগেই তৈরি কফিন, ‘খুনে’র পরিকল্পনা দীর্ঘদিনের? মালদহ হত্যাকাণ্ডে আরও রহস্য]
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কে বা কারা হোটেল মালিককে (Hotel Owner) খুন করল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কেনই বা খুন করা হল তাঁকে, সে কারণেরও খোঁজ করছে পুলিশ। হোটেল কর্মী নির্মল ঘড়াই জানান, শুক্রবার রাত এগারোটা নাগাদ খাওয়াদাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়েন হোটেল মালিক সুব্রত সরকার। তবে তারপর কী হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও ধারণা নেই বলেই জানান হোটেল কর্মীরা। এই ঘটনার কিনারায় হোটেল কর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ওই হোটেল মালিক হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা। তাঁর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন তদন্তকারীরা।