রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: শুক্রবার ছিল নীল জল। কিন্তু শনিবার সকালে সব কিছু বদলে গেল। আচমকা কালো জলে ভরল দিঘা (Digha)। যা দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। সমুদ্রে দাপাদাপি অতীত। আতঙ্কে সমুদ্রের ধারে কাছেও আসলেন না বেশ কয়েকজন পর্যটক। তবে কেউ কেউ যথেষ্ট সাহসী। ঘোলা কালো জলেই সারলেন সমুদ্রস্নান।
করোনা পরিস্থিতিতে (Covid Situation) প্রায় লাটে উঠেছিল পর্যটন ব্যবসা। ঘরবন্দি বাঙালি ভুলেই গিয়েছিলেন দু’দিনের ছুটিতে দিঘার সমুদ্রে দাপাদাপির কথা। তাই আয়ও প্রায় তলানিতে ঠেকেছিল পর্যটন ব্যবসায়ীদের। তবে ধীরে ধীরে কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে ফের সমুদ্রমুখী পর্যটকরা। শর্ত মেনে দিঘায় ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। পর্যটন ব্যবসায়ীদের লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে কিছুটা। তারই মাঝে নয়া বিপত্তি। শনিবার সকাল থেকে সমুদ্রের রংই গিয়েছে বদলে। যত দূরেই চোখ যাক না কেন ঘোলা কালো জলই দেখা যাচ্ছে। যদি কোনও শারীরিক সমস্যা হয়, সে কথা ভেবে জলে নামছেন না অনেকেই। তার ফলে সমুদ্রের জলে দাপাদাপি করার পরিকল্পনা নিয়ে আসা পর্যটকরা বেশ খানিকটা হতাশ। তবে কেউ কেউ অবশ্য ঘোলা কালো জলেই সমুদ্রস্নানে কার্যত ছক্কা হাঁকালেন। দিব্যি দাপিয়ে বেড়ালেন কয়েক ঘণ্টা। যদিও তাঁদের কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে কিনা, সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: Dinosaurs: গ্রহাণু আছড়ে না পড়লেও ধ্বংস হতই ডাইনোরা! নয়া গবেষণায় চাঞ্চল্য]
দিঘার সমুদ্রের জল কালো হয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। দিঘার সমুদ্রের জল ঘোলা হয়ে যাওয়ার ঘটনা আগেও বহুবার ঘটেছে। তবে এত কালো হয়নি বলেই দাবি স্থানীয়দের। কারও কারও মতে, বৃষ্টির ফলে দিঘা সংলগ্ন বহু গ্রামই জলের তলায় চলে গিয়েছে। তার ফলেই হয় তো সমুদ্রের জলের রং কালো হয়ে গিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানস কুমার মণ্ডল জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেখুন ভিডিও: