রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেছিল প্রতিপক্ষ। কুস্তির প্যাঁচে তাকে কাবু করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। চলল আরও নানা শারীরিক অনুশীলন। লক্ষ্য, দলে ঐক্যের বার্তা দেওয়া। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে সকলকে একসূত্রে গাঁথার চেষ্টা! সাপ-বেজি থেকে কুমিরডাঙা, কখনও বা শারীরিক কসরত, কখনও আবার কুস্তির জুতসই প্যাঁচে আত্মরক্ষার চেষ্টা। এমনই নানা খেলায় মেতে উঠলেন দিলীপ ঘোষ থেকে সুকান্ত মজুমদাররা (Sukanta Majumdar)।
বৈদিক ভিলেজে রাজ্য বিজেপির (BJP) প্রশিক্ষণ শিবিরের ফাঁকে দলের এই দুই শীর্ষনেতাকে এক অন্য ভূমিকায় দেখলেন শিবিরে উপস্থিত প্রতিনিধিরা। একেবারে সংঘ পরিবারের নিয়মেই হয় বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবিরও। সকালে যোগব্যায়াম বাধ্যতামূলক। আর বিকেলে হালকা শারীরিক কসরতের বিভিন্ন খেলা। সোমবার ও মঙ্গলবার দু’দিনই এই হরেক খেলায় অংশ নিলেন রাজ্য বিজেপির শীর্ষনেতারা তো বটেই, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও।
[আরও পড়ুন: ২০১১ সাল থেকে নিয়োগ হওয়া সব প্রাথমিক শিক্ষকের তথ্য তলব ইডির]
বাইরে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দূরত্ব প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপিও একাধিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত। বিভিন্ন সময়ে এই কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। তখন এই প্রশিক্ষণ শিবির সেই ঐক্য কতটা আনতে পারবে সেই প্রশ্ন থাকছেই। দিলীপ ঘোষ অংশ নিয়েছিলেন আত্মরক্ষার কসরতে। যেখানে পিছন থেকে একজন অন্যজনকে জাপটে ধরবে। পিছন থেকে জাপটে ধরা ব্যক্তিকে প্যাঁচে কাবু করাই হচ্ছে এই খেলা। আবার সাপ-বেজির লড়াই। ছিল ‘গোয়েন্দা—গোয়েন্দা’ খেলাও। আবার ছোঁয়াছুঁয়ি কিংবা কুমিরডাঙা খেলাও রীতিমতো জমে ওঠে।
[আরও পড়ুন: সৎ ছেলেকে টাকা না দিলে চাকরি থেকে বরখাস্ত, মহিলাকে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের]
একাধিক গ্রুপে ভাগ করে এই খেলা হয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে যোগব্যায়াম করা দিলীপ ঘোষের অভ্যাস। ফলে এখানেও বিভিন্ন শারীরিক কসরতে দেখা যায় দিলীপবাবুকে। এদিকে, প্রশিক্ষণ শিবিরের দ্বিতীয়দিনেও ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চে ছিল নানাধরনের মেনু। সকালে বাটার-টোস্ট, জ্যাম-জেলি থেকে ডিম সিদ্ধ, আবার ইডলি-ধোসা থেকে ফলের রস। ছিল মিষ্টিও। দুপুরে মাছ-মাংস ও তিনরকম সবজি। বিজেপির এই ‘রিসর্ট পলিট্রিক্স’ নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল (TMC) থেকে বাম-কংগ্রেস। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর বক্তব্য, “এই জন্যই তো অন্য পার্টির থেকে বিজেপি আলাদা। বিজেপি বিজেপির মতো চলবে। আমরা সহজ-সরল। আমাদের একটাই লাইন, ইন্ডিয়ান লাইন।”