সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় যত এগোচ্ছে, একুশের নির্বাচনী লড়াইয়ের পারদ ততই চড়ছে। শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। আর সাতসকালে সেই উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শনিবার সকালে কৈখালির চা-চক্র থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনি আক্রমণের সুর চড়িয়ে বললেন, ”রাজ্যে চাকরি নেই, শিল্প নেই। বিজেপি শাসিত রাজ্যে গিয়ে আয় করতে বাধ্য হন এখানকার শ্রমিকরা। এখন এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যাই বেশি। এই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গিয়েছে।” মমতা সরকারকে ‘ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট’ সরকার বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। যে দল বিপর্যয় মোকাবিলা করতে ব্যর্থ, তাদের ইস্তফা দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন দিলীপ ঘোষ।
সকালের চা-চর্চায় জনসংযোগের মাধ্যমে সমর্থন আদায়ের চেষ্টায় শান দিচ্ছেন দিলীপ ঘোষ-সহ দলের একাধিক নেতানেত্রী। এই চা-চক্রের মূল লক্ষ্য হল, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরা। সেভাবেই শনিবারও কৈখালি থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই সুর চড়ালেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, ”আগে এ রাজ্য থেকে আইএএস, আইপিএস তৈরি হত। তাঁরাই দেশজুড়ে কাজ করতেন। আর এখন এ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছেন দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। এখানে এখন স্রেফ পরিযায়ী শ্রমিক তৈরি হয়।” যদিও এদিন দিলীপ ঘোষের মুখে একবারের জন্যও সদ্যপ্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কোনও কথা শোনা গেল না।
[আরও পড়ুন: আসন নিয়ে বামেদের সঙ্গে দর কষাকষি নয়, ভোটের প্রস্তুতি বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেসকে বার্তা রাহুলের]
এদিকে, সাতসকালে বিজেপি রাজ্য সভাপতি যখন চা-চর্চায় রাজ্য সরকারের নানা ত্রুটি তুলে ধরতে ব্যস্ত, সেসময়ই হাওড়ার বাঁকড়ায় হামলার মুখে তাঁর দলের নেতা। হাওড়ার বাঁকড়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে সিঁড়ি থেকে ঠেলে ফেলার অভিযোগ উঠল। এদিন সকালে বিজেপি সদস্যরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ করার সময়ে মণ্ডল সভাপতি নিজামুদ্দিন শেখের উপর এই হামলা হয় বলে অভিযোগ। এক্ষেত্রে অভিযাগের তির স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের দিকে।