রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শেষ কয়েকদিনে একাধিকবার প্রকাশ্যে সিএএ প্রসঙ্গে দলের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি (BJP) সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সুযোগ বুঝে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁকে তৃণমূলে যোগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতি সাংসদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ বুঝতে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
বাইপাসের ধারে একটি পাঁচতারা হোটেলে একুশের রণনীতি কী হবে তা নিয়ে বৈঠক করছে রাজ্য বিজেপির নেতারা। সোমবার রাতে আচমকাই সেখানে হাজির হন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সেখানেই দিলীপ ঘোষ তাঁর কাছে গোটা বিষয়টি জানতে চান। সূত্রের খবর, গত কয়েকদিনের মন্তব্যে কোনওভাবেই তিনি কেন্দ্রকে আক্রমণ করেননি বলেই দিলীপ ঘোষকে জানিয়েছেন শান্তনু। তাঁর অভিযোগ, সংবাদমাধ্যম মন্তব্যকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছে। বিজেপি সাংসদের এই দাবির ভিত্তিতেই দিলীপ ঘোষ তাঁকে নির্দেশ দেন সংবাদমাধ্যমে অবস্থান স্পষ্ট করতে। মেদিনীপুরের সাংসদ ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়েছেন, শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে দলের কোনও মতবিরোধ নেই। এদিকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আহ্বান প্রসঙ্গে বনগাঁর বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, “তৃণমূল সিএএ বিরোধী, তাই ওদের সঙ্গে হাত মেলানোর কোনও প্রশ্ন নেই। ওরা আগে বলুক সিএএ সমর্থন করবে।”
[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ‘পুলিশ-শিক্ষক’ ইন্সপেক্টরের, শোকাহত ‘ছাত্র’ অফিসাররা]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বলেছিলেন, “করোনা পরিস্থিতি কাটলে সিএএ চালু হবে।” এরপরই একাধিক জায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন “২০১৯ সালে আইন হলেও তা কার্যকর করতে এত ভয় কিসের? বিরোধিতার ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। দাঙ্গার ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে। কেউ দাঙ্গা করলে সেটা আমরা বুঝে নেব।” সাংসদের এই মন্তব্যের জেরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এই পরিস্থিতি প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেছিলেন, মানুষের স্বার্থে শান্তনু পাশে দাঁড়িয়ে লড়তে আপত্তি নেই। এসবের পরই তড়িঘড়ি সাংসদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি।