রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজস করে জঙ্গলমহলে জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে তৃণমূল। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ”মাওবাদীদের সক্রিয় করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় পোস্টার পড়ছে। মাওবাদীদের নামে ভয় দেখিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।” সম্প্রতি ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি এলাকায় ধারাবাহিকভাবে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে এমনই কড়া প্রতিক্রিয়া তাঁর।
আসলে, ২০১৯’এর লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলে ব্যাপক ফলাফল করেছে বিজেপি (BJP)। চার জেলাতেই সাংসদ পেয়েছে গেরুয়া শিবির। বাম আমলের মাওবাদী আতঙ্কের পর সেখানে যে সুস্থ, স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এবং তার জেরে তৈরি হওয়া জনসমর্থনের ভিত একেবারে ভেঙে গিয়েছে। তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরে কম ময়নাতদন্ত হয়নি। একুশের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কড়া নির্দেশ, হারানো জমি ফিরে পেতেই হবে। সেই লক্ষ্যে তিনি জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে বড়সড় সাংগঠনিক রদবদলও ঘটিয়েছেন। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, সেই হারানো জনসমর্থন ফিরে পেতে প্রয়োজনে তৃণমূল মাওবাদীদের সঙ্গে যোগসাজশের পথেও হাঁটছে। তাই ফের সেখানে মাওবাদীদের অস্তিত্ব, সক্রিয়তা টের পাওয়া যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: দলেরই মহিলা কর্মীদের ‘কুপ্রস্তাব’, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের]
দিলীপ ঘোষের আরও বক্তব্য, বিহারের ভোটে জঙ্গলমহল থেকে বাহিনী নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য কেন বাহিনী চাইছে না, এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর দাবি, এর পিছনে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। বঙ্গ রাজনীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ফের তিনি এই অভিযোগে সরব হন যে বাংলায় বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথায়, ”বিজেপি কর্মীদের বলিদান ব্যর্থ হবে না। একুশে বাংলায় পরিবর্তন হবেই।”
[আরও পড়ুন: ফের আমফান ‘দুর্নীতি’র কাঁটা শাসকদলে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ধুন্ধুমার বসিরহাট]
The post ‘হারানো জমি ফিরে পেতে মাওবাদী-তৃণমূল যোগসাজশ’, জঙ্গলমহল নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ appeared first on Sangbad Pratidin.