রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কিছুদিন আগেই জল্পনা ছড়ায়, পুরভোটের আগেই রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষের সঙ্গে শোভনের কথা হওয়ার পরই এই জল্পনা উসকে ওঠে। তবে বৃহস্পতিবার নয়া জল্পনা উসকে দিলেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বললেন, ‘শোভনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়নি। দলের অন্যদের সঙ্গে কথা হচ্ছে শুনেছি। কোনও পরিপক্ক রাজনীতিবিদকে জোর করে কাজ করানো যায় না।’
এই মন্তব্যের পরেই নয়া মোড় নিয়েছে শোভন পর্ব। তবে কি রাজ্য নেতাদের অন্ধকারে রেখেই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন শোভন? দলের মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন। এদিন বঙ্গ বিজেপি সভাপতির মন্তব্যেও দানা বাঁধছে জল্পনা। দিলীপের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট, শোভনের আচরণে ক্ষুব্ধ রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁদের অন্ধকারে রেখে প্রাক্তন মেয়র যেভাবে হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তাতে যারপরনাই কিছুটা অসন্তুষ্ট দিলীপ ঘোষরা। যেখানে শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছে পুরভোটে সক্রিয় হোন শোভন, সেখানে তাঁকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না রাজ্য নেতারা। যা দলের মধ্যে শোভনকে নিয়ে কোন্দলের আভাস দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নাড্ডার সঙ্গে কথা শোভনের, পুরভোটের আগেই ফের সক্রিয় হচ্ছেন প্রাক্তন মেয়র?]
পুরভোট প্রসঙ্গে এদিন রাজ্য দপ্তরে দিলীপ আরও বলেছেন, ‘পুরভোটের প্রার্থী নিয়ে আমরা কিছু করছি না। তবে ভোটের আগে বিভিন্ন দল সার্ভে করে থাকে। লোকাল ইস্যু নিয়ে প্রচার হয়।’ প্রসঙ্গত, নতুন-পুরনো মিলিয়ে প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করতেই এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বকে। তাই পরিস্থিতি সামলাতে দলের শীর্ষনেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, কাকে প্রার্থী করা হবে তা ওয়ার্ডভিত্তিক সমীক্ষা হচ্ছে। সেই সমীক্ষা রিপোর্টের পরই চূড়ান্ত হবে নাম। পেশাদারি সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত হবে প্রার্থীর নাম।
এদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু কি বিজেপিতে আসছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে মেদিনীপুরের সাংসদের সাফ কথা, ‘দলে যখন কেউ কোণঠাসা হয়ে পড়ে তখন বিজেপির ভয় দেখায়। ছ’বছর ধরে একথা শুনে আসছি ওনার সম্পর্কে। তবে এলে স্বাগত।’
[আরও পড়ুন: ‘এত মাস্ক দেওয়া সম্ভব নয়, কাপড় ব্যবহার করুন’, করোনা আতঙ্কে নিদান দিলীপের]
The post ‘পরিপক্ক রাজনীতিবিদকে জোর করে কাজ করানো যায় না’, শোভনকে খোঁচা দিলীপের appeared first on Sangbad Pratidin.