দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলের মাঝেই রাজু ঝা মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ। বললেন, “সিবিআই ডেকেছিল, নিশ্চয়ই কোনও বড় লোকেদের নাম বলেছে, তাই এই পরিণতি।” বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
বিজেপির উদ্যোগে রবিবার দুপুরে রিষড়ায় বাঙ্গুর পার্ক থেকে রামনবমী উপলক্ষে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। তাতে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকেই হাওড়ার অশান্তি ও শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া খুন প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। হাওড়ায় সুকান্ত মজুমদারকে আটকানোর প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূলের জন্য গণতন্ত্র আলাদা, বিরোধীদের জন্য আলাদা। এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গা আরতি করতে পারেন কিন্তু তারা আরতি করতে গেলে আটকানো হয়। হিন্দু সমাজের ধার্মিক অধিকারকে এখানে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘জ্যোতিবাবুর কোটায় কম যোগ্যতায়ও ডাক্তারি পড়া যেত’, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা উদয়নের]
অন্যদিকে রাজু ঝার মৃত্যু প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “সিবিআই ডেকেছিল, নিশ্চয়ই কোনও বড় লোকেদের নাম বলেছে। হয়তো দুই-একদিনের মধ্যে আবার ওকে ডাকা হয়েছিল। আরও কারও নাম বলে দিতে পারে, এই ভয়েতেই ওর মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার পরই ভয় পেয়ে কেন্দ্রের টাকা অনুমোদন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “কেন্দ্র কারও টাকা আটকায় না। রাজ্য সরকারের দায়িত্ব টাকাটা গরিবদের জন্য খরচ করে তার হিসাব দেওয়া।”
পাশাপাশি এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দুয়ারে সরকার’কে নির্বাচন কেন্দ্রিক বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলাফল কী হবে এপ্রসঙ্গ এড়িয়েই গিয়েছেন তিনি। এতেই স্পষ্ট যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ভাল ফল করার বিষয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির মনেই সংশয়।