রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বুধ–বিকেলে রাজ্যের তরফে ইকো পার্কে আয়োজন করা হয়েছে বিজয়া সম্মিলনীর। তবে তার আগেই ইকো পার্কে বিজয়া সম্মিলনী সারলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রাতঃভ্রমণে আসা সকলের সঙ্গে খেলেন দক্ষিণ ভারতীয় খাবার।
কলকাতায় থাকলে নিয়মিত ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বুধবারও তাঁর অন্যথা হয়নি। এদিন নির্দিষ্ট সময়ে ইকো পার্কে হাজির হন তিনি। তবে এদিন অন্যভাবে দেখা গেল তাঁকে। তাঁর নেতৃত্বেই পার্কের ভিতরে আয়োজন করা হয় চেয়ার, টেবিলের। প্রাতঃভ্রমণে আসা অন্যান্যদের ডেকে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সারেন দিলীপ ঘোষ। মেনুতে ছিল দক্ষিণ ভারতীয় খাবার। সেখান থেকেই রাজ্যের আয়োজন করা বিজয়া সম্মিলনীকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, “বিকেলে যেটা হবে, সেটা লোক দেখানো। ওটা মিডিয়া দেখাবে। সবাই দেখবে। সাধারণ মানুষের সেখানে সম্মান নেই, লোক দেখানো এই সব করে লাভ নেই। এসব ক্ষেত্রে মানুষ নিজেকে উপেক্ষিত বলেই মনে করে।”
[আরও পড়ুন:আজ ইকো পার্কে রাজ্যের বিজয়া সম্মিলনী, শিল্পপতি-বিদ্বজনদের মুখোমুখি হবেন মুখ্যমন্ত্রী]
এদিন ইকো পার্ক থেকে থেকে একাধিক ইস্যুতে মুখ খোলেন দিলীপ। নীলাদ্রিশেখর দানাকে জেরা প্রসঙ্গে বলেন, “সিবিআই-ইডি তৎপরতা কোর্টের নির্দেশে। নেতারা পরপর ধরা পড়তেই বিজেপিকে টার্গেট করা শুরু হয়েছে। বিজেপি এর সঙ্গে জড়িত নয়। নিজেদের বাঁচাতে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই বিজেপিকে টার্গেট করা হচ্ছে।। ৯ বছরে অনুব্রতর আয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে দিলীপের বক্তব্য, “এগুলো তো দেখা যাচ্ছে। এরকম কত আছে যেগুলো দেখানো নেই। তাই কত গুণ বেড়েছে তা পরে জানা যাবে।” মানিক ভট্টাচার্য প্রসঙ্গে দিলীপের দাবি, শুধু মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে নয়, বাড়ির লোক, কর্মচারি, সবাই যুক্ত দুর্নীতিতে। এই টাকা আসলে লুকিয়ে রাখা টাকা। আরও তদন্ত এগোলে এরকম আরও হদিশ মিলবে।