সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বিক্ষুব্ধদের বিদ্রোহে’ বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহল সরগরম। এসবের মাঝে সোমবার শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) আয়োজিত পিকনিকে বিক্ষুব্ধরা যোগ দেওয়ায় তৈরি হয়েছে নানারকম জল্পনা। পিকনিক প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
কলকাতায় থাকলে নিয়মিত ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে যান প্রাক্তন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবারও তার অন্যথা হয়নি। সেখানেই বিক্ষুব্ধদের পিকনিক নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ। তাঁর কথায়, “বিজেপিতে কেবল নিরামিষ হয় না। মাছ-মাংসও খাওয়া হয়। মাঝে মধ্যে পাত পেড়ে বিরিয়ানিও খাওয়া হয়। দলের নেতারা একসঙ্গে পিকনিক করেছেন, খাওয়া দাওয়া করেছেন, এতে অসুবিধা কোথায়?” দিলীপ আরও বলেন, মে মাসের পর থেকে দলের নেতা-কর্মীদের উপর যেভাবে অত্যাচার হয়েছে তাতে সকলেরই মন খারাপ। তবে তাঁর দাবি, সময় দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: ১২ দিন পর রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ দশ হাজারের নিচে, নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেসও]
সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর দক্ষিণের বিজেপি মণ্ডল সভাপতি হরিশংকর সরকারের বাড়িতে পিকনিকের আয়োজন করা হয়। পিকনিকের মূল আয়োজক শান্তনু ঠাকুর। অংশ নেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিসকুমার বিশ্বাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, রাজ্য বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসুরা।
এই পিকনিক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় চর্চা। নিছক আনন্দের জন্য যে পিকনিকের আয়োজন হয়েছে, তা মানতে নারাজ প্রায় সকলেই। তবে পিকনিকে অংশ নেওয়া বিজেপি নেতাদের দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। জয়প্রকাশ মজুমদার (Jayprakash Majumdar)-সহ সকলেই জানান, “শীতকাল এসেছে তাই পিকনিক। রবীন্দ্রনাথ বলতেন চড়ুইভাতি। এটা সামাজিক চড়ুইভাতি। যাঁরা রাজনীতির লোক তাঁরা সামাজিক নন? রাজনীতির লোকেরাও তো খায় দায়, গান গায়। তাই আমরাও পিকনিক করছি।” এবার দিলীপের গলাতেও একই সুর।