সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে তলব ইডি’র। তারই মাঝে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেপ্তারির সংখ্যা আরও বাড়াবে বলেই দাবি বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির।
নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ সেরে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সিবিআই, ইডি ডাকছে এটা নতুন কিছু নয়। এবার খবর করুন, কতজন গ্রেপ্তার হচ্ছেন। সময় এসেছে জাল গোটাচ্ছে। ডাকাডাকি চলছে।” উল্লেখ্য, সোমবার সকালে দুবাই যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন অভিষেকপত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অভিবাসন দপ্তর তাঁকে বাধা দেয়। ফিরে যেতে হয় বাড়িতে। এরপর বৃহস্পতিবার রুজিরাকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
রুজিরার হাজিরার আগে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জোর শোরগোল। কারণ, প্রথম থেকেই তৃণমূলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, সিবিআই-ইডি’র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে আদতে পরিচালনা করছে বিজেপি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের হেনস্তা করছে তারা। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের মতে, অভিষেকের ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির সাফল্য মেনে নিতে পারছে না গেরুয়া শিবির। সে কারণেই তাঁর স্ত্রীকে তলব করা হয়েছে। যদিও দিলীপ ঘোষ এই দাবি মানতে নারাজ।
[আরও পড়ুন: ‘বয়স কম হলে শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম’, সৌগতর মন্তব্যে বিতর্ক]
এদিকে, শিক্ষকের পাশাপাশি পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কোমর বেঁধে নেমেছে সিবিআই। বুধবার গোটা রাজ্যের বহু পুরসভায় হানা দেন তদন্তকারীরা। তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্রও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা উদ্ধার করেন বলেই খবর। সিবিআই তল্লাশিতে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত ধামাচাপা দিতে বাংলায় সিবিআই প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে বলেই অভিযোগ করেন। তাঁর প্রশ্ন, “সিবিআই কি এবার বাথরুমেও ঢুকবে?”
এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর খোঁচা, “বাথরুম নয়। ওঁর বেডরুমে ও বাথরুমে দু’জায়গায় ঢুকবে। কারণ, যেখানে উনি টাকা লুঠ করে রেখেছেন। এখন ২ হাজার টাকার নোট দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করা হচ্ছে। এটা কি ধরনের প্রহসন? সামান্য মানবিকতা নেই। সুযোগ পেয়েছেন হাত ধুয়ে নিচ্ছেন। টাকা কোথায় আছে আমরা জানি। সিবিআই সব জায়গায় পৌঁছবে। সিবিআই রেল দুর্ঘটনার তদন্ত করলে কষ্ট, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করলে কষ্ট, পুরসভার বেআইনি নিয়োগ নিয়ে তদন্ত করলে কষ্ট। এত কষ্ট কেন? আপনি সৎ হলে এত টেনশন নেওয়ার দরকার নেই।”