সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একজন ভাল মানুষ খারাপ দলে এতদিন ছিলেন। এবার সঠিক দলে এলেন। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে বিজেপিতে (BJP) স্বাগত জানিয়ে এভাবেই তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। আর জন্মলগ্ন থেকে যে দলে থাকার পরও তা ছেড়ে নয়া রাজনৈতিক কেরিয়ারের পথে পা বাড়িয়েছেন দীনেশ, সেই তৃণমূলের ‘পরিবারতন্ত্র’ নিয়ে খোঁচাও দিলেন। গেরুয়া উত্তরীয় জড়িয়ে বললেন, ”অপেক্ষায় ছিলাম এই দিনের জন্য। বিজেপি জনতার পরিবার। আর কোনও কোনও দল নিজেদের পরিবার নিয়েই থাকে। পরিবারের সেবা করতে গিয়ে জনতার সেবা করতে ভুলে যায়।” দীনেশের এহেন মন্তব্যেই স্পষ্ট তাঁর নিশানায় ‘পরিবারতন্ত্র’ই।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ঘোষণা করেন দীনেশ ত্রিবেদী। এরপরই তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনা শুরু হয়। প্রায় সপ্তাহ তিনেক পর, শনিবার সেই জল্পনা ইতি টেনে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। দিল্লিতে বিজেপি সদর দপ্তরে জেপি নাড্ডার হাত থেকে গেরুয়া উত্তরীয়, পুষ্পস্তবক নিলেন তিনি। তাঁকে দলে স্বাগত জানিয়ে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন নাড্ডা। তাঁর কথায়, ”উনি রাজনীতির ময়দানে অভিজ্ঞ এবং বিচক্ষণ মানুষ। খুবই ভাল উনি। একজন ভাল মানুষ এতদিন খারাপ দলে ছিলেন, এবার এলেন সঠিক দলে। ওঁকে সর্বান্তকরণে স্বাগত জানাই।”
[আরও পড়ুন: হায় ঈশ্বর! বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগে তীব্র কান্নায় প্রাণই হারালেন কনে]
এরপর দীনেশ ত্রিবেদী বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে পরোক্ষে তৃণমূলের নানা ফাঁকফোকরই তুলে ধরলেন। তাঁর নিশানায় এল ‘পরিবারতন্ত্র’। তৃণমূল দলটা পরিবারকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ প্রাক্তন সাংসদের। তাঁর মতে, বিজেপিতে কোনও পরিবারতন্ত্র নেই। জনতাই তার পরিবার। তাই ভালভাবে জনসেবা করার সুযোগ মিলবে বিজেপিতে থেকেই। এই বিশ্বাস থেকেই গেরুয়া শিবিরে যোগদান বলে জানান দীনেশ। তবে তাঁর এই মন্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে, ১৯৯৮ সাল অর্থাৎ তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে সদস্য থাকার এতদিন পর আচমকা কেন তৃণমূলে ‘পরিবারতন্ত্রে’র ছায়া দেখতে পেলেন দীনেশ ত্রিবেদী?
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ফের ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা সংক্রমণ, একদিনে প্রাণ হারালেন ১০৮ জন]
এ নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”দীনেশ ত্রিবেদী কোনও জননেতা নন, ছিলেন না। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই তাঁকে রাজনীতিতে লড়ার সুযোগ দিয়ে রেলমন্ত্রী পর্যন্ত করেছেন। এরপর তিনি বলছেন তৃণমূলের নীতি-আদর্শ নিয়ে! এঁদের কাছ থেকে দলকে এটা পেতে হচ্ছে, সেটাই দুর্ভাগ্যের।”