সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra) অভিযোগ, অন্যদিকে হেমা কমিটির রিপোর্ট। এই দুই জোড়া ফলায় বিদ্ধ মালয়ালম চলচ্চিত্র জগৎ। যৌন হেনস্তার অভিযোগে আতশকাচের নিচে রঞ্জিত, সিদ্দিকির মতো পরিচালক-অভিনেতারা। অন্ধকার ঘরে অশালীনভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিলেন মালয়ালম সিনেমার পরিচালক রঞ্জিত। এমনই অভিযোগ শ্রীলেখার। তাঁকে সমর্থন জানালেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক জোশী জোসেফ।
সংবাদমাধ্যমকে শ্রীলেখা জানান, মামুতি অভিনীত ‘পালেরি মণিক্যম: ওরু পাথিরাকোলাপাথাকাথিনতে কথা’ সিনেমায় তাঁর অভিনয় করার কথা ছিল। এর জন্যই অভিনেত্রীকে কোচিতে ডাকা হয়েছিল। সকালের ফটোশুট, কস্টিউম নিয়ে আলোচনার পর পরিচালক রঞ্জিতের বাড়িতে তাঁকে ডাকা হয়। অভিযোগ, সেখানেই অন্ধকার বেডরুমে অশালীনভাবে নায়িকার শরীরে হাত দেন পরিচালক। শ্রীলেখার এই অভিযোগ অস্বীকার করেন রঞ্জিত। যদিও এই ঘটনার পরই কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: জেলে দর্শনের ‘ফাইভস্টার ট্রিটমেন্ট’, গ্যাংস্টারের সঙ্গে খোশগল্প কন্নড় স্টারের! ভাইরাল ছবি-ভিডিও ]
এই প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জোশী জোসেফ। শ্রীলেখার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, তা তিনি জানেন বলেই দাবি করেছেন। জানান, সেই সময় শ্রীলেখা তাঁকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তিনিই গিয়ে গাড়িতে করে শ্রীলেখাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। শ্রীলেখা চেয়েছিলেন রঞ্জিত যেন নিজের কাজের জন্য ক্ষমা চান। কিন্তু, রঞ্জিতের কোনও অনুতাপ নাকি ছিল না।
এত পরে কেন শ্রীলেখা এই কথা বলছেন? জোসেফ মনে করেন, এতে হেমা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শোনা যায়, এই রিপোর্টে সেখানকার বিনোদন জগতের একাধিক কাস্টিং কাউচ, যৌন হেনস্তা ও পারিশ্রমিকের বৈষম্যের কথা লেখা রয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে শুধু শ্রীলেখা নন, জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক ডক্টর বিজুও রঞ্জিতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বলে খবর। এমনকী বর্ষীয়ান অভিনেতা সিদ্দিকির বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনি অ্যাসোসিয়েশন অফ মালয়ালম মুভি আর্টিস্টসের (AMMA) সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। রঞ্জিতের কোঝিকোড়ের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি সমর্থকরা। সমস্ত বিষয়ের তদন্তের জন্য সিনিয়র মহিলা পুলিশদের নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে (SIT)।