shono
Advertisement

‘উপার্জনের দু’পয়সা তোলাবাজির দু’কোটির থেকে অনেক দামী’, মহুয়াকে জবাব কমলেশ্বরের

ফেসবুকে সাংসদের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীও।
Posted: 04:06 PM Dec 08, 2020Updated: 04:33 PM Dec 08, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ওম শান্তি ওম’ সিনেমায় ‘এক চুটকি সিঁদুরে’র গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন শাহরুখ খান (Shahrukh Khan) ও দীপিকা পাড়ুকোন। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সৌজন্যে ‘দু’পয়সা’র গুরুত্ব অনেকেই ভালভাবে বুঝে গিয়েছেন। দিকে দিকে প্রতিবাদের ভাষা পোক্ত হয়েছে। অনেকেই দু’পয়সার ছবিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে টলিউডের তারকা মহলে সাংসদের এই মন্তব্যে তেমন প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। ব্যতিক্রম কেবল কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleshwar Mukherjee), সুদীপ্তা চক্রবর্তী (Sudipta Chakraborty)। সাংসদের ‘দু’পয়সার প্রেস’ মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন টলিপাড়ার এই দুই তারকা।

Advertisement

নদিয়ার গয়েশপুরে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে সংবাদমাধ্যমকে ‘দু পয়সা’র বলে উল্লেখ করেছিলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মঙ্গলবার তার জবাবে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় লেখেন, “উপার্জনের দু’পয়সা তোলাবাজির দু’কোটির থেকে অনেক দামী”

[আরও পড়ুন: ভারত বন্‌ধের প্রতিবাদে কবি হয়ে উঠলেন কঙ্গনা রানাউত, টুইটারে লিখলেন মনের কথা]

ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তীও। লিখেছেন, “আজ আমি যেখানে আছে নিজের দক্ষতা, সঠিক সুযোগ, দর্শক এবং সর্বোপরি সাংবাদিক ও মিডিয়ার সৌজন্যে। প্রত্যেক পেশায় কিছু ব্যতিক্রম থাকে। কিন্তু সমস্ত কিছুর জন্য নির্দিষ্ট আইন রয়েছে, তাই না! ‘দু’পয়সার সাংবাদিক’ মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছি।”

সাংসদের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হয় কলকাতার প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকেও। বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের সম্বন্ধে যে মন্তব্য করেছেন তাতে প্রেস ক্লাব, কলকাতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং তীব্র প্রতিবাদ করছে। তাঁর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে অনভিপ্রেত, অপমানকর। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাংবাদিকতার গুরুত্ব এবং এই পেশার সম্মান সর্বজনবিদিত। প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে একজন সাংবাদিকের পেশাগত সংগ্রাম ও সামাজিক দায়বদ্ধতার বিশ্বজোড়া স্বীকৃতি রয়েছে। সেই মহান কাজের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের আঘাত করার অধিকার কোনও অধিকার কারও নেই। ধিক্কার জানাই সাংসদের মন্তব্যে। আশা করি সাংসদ তাঁর এই মন্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করবেন।”

চাপের মুখে পড়ে ক্ষমা অবশ্য সাংসদ চেয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। তবে তাঁর ক্ষমা চাওয়ার ভাষাও ছিল কটাক্ষে ভরা, “আই অ্যাপোলোজাইজ ফর দ্য মিন হার্টফুল অ্যাকিউরেট থিংস আই সেড।” বাংলায় লিখতে গেলে, “নিম্নমানের দুঃখজনক কিন্তু সঠিক কথা বলার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” অর্থাৎ, ক্ষমা চাইলেও নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন সাংসদ। যার জেরে আরও বেশি করে প্রতিবাদের সুর আরও চড়েছে।

[আরও পড়ুন: লম্পট স্বামীর হাতে রোজ মার খেতেন প্রয়াত অভিনেত্রী দিব্যা ভাটনাগর, বিস্ফোরক দেবলীনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement