অভিরূপ দাস: কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় স্থিতিশীল। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণ মজুমদার। তবে সংকট এখনও কাটেনি বলেই খবর।
উল্লেখ্য, প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে কিডনির কাজ করার ক্ষমতা শতকরা দশ ভাগের কম থাকলে ডায়ালিসিস শুরু করা হয়। তরুণ মজুমদারের কিডনি ৫ শতাংশের বেশি কাজ করছে না। কিডনির সমস্যায় তাঁর সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সে কারণে শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজর পরিমাণ কম রয়েছে। প্লেটলেট কম রয়েছে তরুণবাবুর শরীরে। রক্তক্ষরণও হচ্ছে। দু’টি কিডনিই যেখানে সমস্যা তৈরি করেছে, সে ক্ষেত্রে এগুলি স্বাভাবিক ঘটনা বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
[আরও পড়ুন: ফের কলকাতায় উঠতি মডেলের আত্মহত্যার চেষ্টা! ফেসবুকে লিখলেন, ‘শান্তি চাই, গুডবাই’]
গত শুক্রবার তরুণ মজুমদারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। ভেন্টিলেশনে দিতে হয়েছিল তাঁকে। শনিবার পরিচালকের ভেন্টিলেশন খুলে নেওয়া হয়। সেদিন তাঁকে রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাবার খাওয়ানো হয়। রবিবার রাইলস টিউব খোলার কথা ছিল। কিন্তু বর্ষীয়ান পরিচালকের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে কোনও ঝুঁকি নিতে চান না চিকিৎসকরা। তাই সোমবার রাইলস টিউব খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
কেমিস্ট্রির ছাত্র হলেও সিনেমা তৈরির ঝোঁক ছিল তরুণ মজুমদারের। শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে ‘যাত্রিক’ নামে টিম তৈরি করে সিনেমা পরিচালনার কাজ শুরু করেন তিনি। পরে ‘যাত্রিক’ থেকে বেরিয়ে নিজে পরিচালনার কাজ শুরু করেন। মধ্যবিত্ত বাঙালির জীবন সিনেমার পর্দায় তুলে ধরেন ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘আলো’র মতো সিনেমার মাধ্যমে। একাধিক জাতীয় পুরস্কার হয়েছে তরুণ মজুমদারে ঝুলিতে। পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মান। কিংবদন্তি পরিচালকের আরোগ্য কামনায় প্রর্থনা করছেন তাঁর অনুরাগীরা।