শান্ত সমুদ্রের অসাধারণ বিচ। যেখানে মোটর বোটিং অন্যতম আকর্ষণ। আর দুষ্প্রাপ্য জিনিসের সংগ্রহে মিউজিয়ামও নজরকাড়া। লিখছেন প্রসূন চক্রবর্তী।
লম্বাকৃতি দ্বীপ। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সেতু দ্বারা যুক্ত। সেতু পেরোলেই বাসস্ট্যান্ড। ছোট্ট ও ছিমছাম সুন্দর দ্বীপ। একসময় পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল। লোকজন ভদ্র ও মার্জিত৷ রুচিসম্পন্ন। বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে পর্তুগিজ চার্চ। বড় আকারের সরকারি হাসপাতাল। হাসপাতালের পাশেই রয়েছে মিউজিয়াম। মিউজিয়ামে রয়েছে পর্তুগিজ আমলের বহু দুষ্প্রাপ্য জিনিসের সংগ্রহ।
[কাশ্মীরের রোম্যান্টিসিজম এবার পুরুলিয়ায়, সাহেব বাঁধে শিকারায় ভ্রমণ]
দিউয়ের অন্যতম আকর্ষণ সমুদ্র বিচ। সূর্যাস্ত দেখার জন্য আছে সামার হাউস। সামার হাউসে বসে দেখা যায় অনন্ত প্রসারিত নীলাকাশ। চারদিকে সমুদ্রে ঘেরা দিউ দ্বীপে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের আলোর প্রতিফলনের দৃশ্য অপরূপ। পাশে লাইট হাউসটিও খুব সুন্দর। দিউয়ের অন্যতম আকর্ষণ লাগোয়া বিচ। এখানে ব্যবস্থা অতি উত্তম। পুরী কিংবা অন্যান্য সমুদ্র সৈকতে যেমন উত্তাল ঢেউয়ের প্রকোপ, এখানে সমুদ্র এত উত্তাল নয়। অনেক শান্তি। লাগোয়া বিচে এসে মোটর বোটিং করা যায়।
[পর্যটকদের জন্য সুখবর, সান্দাকফুর বিকল্প ট্রেকিং রুট মিরিকে]
যাবেন কীভাবে:
হাওড়া থেকে মুম্বইগামী যে কোনও ট্রেন ধরে মুম্বই পৌঁছাতে হবে। মুম্বই থেকে শনিবার ছাড়া প্রতিদিন জেট এয়ারওয়েজ-এর বিমানে দিউ যাওয়া যেতে পারে।এছাড়া হাওড়া থেকে গুজরাটগামী ট্রেনে পোরবন্দর পৌঁছে যান। পোরবন্দর থেকে সকাল ১০টায় বাস ছেড়ে যাচ্ছে দিউ। বাস পথে সময় নেয় প্রায় আড়াই ঘণ্টা।
[একঘেয়েমি কাটাতে বেড়িয়ে পড়ুন মেঘের দেশে, রইল সুলুক সন্ধান]
থাকবেন কোথায়
দিউতে থাকার জায়গা রয়েছে প্রচুর। ফোর্ট রোডে রয়েছে হোটেল আলিশান, আপনা গেস্ট হাউস, হোটেল এলিগেন্ট, নীলেশ গেস্ট হাউস। জেথিভাই মার্গে রয়েছে হোটেল অঙ্কুর, হোটেল সুপার সিলভার, শ্যাম গেস্ট হাউস, রসুল বিচ রিসর্ট, হোটেল কিনারা৷ মাছবাজারে রয়েছে হরেকৃষ্ণ গেস্ট হাউস, প্রিন্স গেস্ট হাউস, হোটেল আশিয়ানা, হোটেল সি ভিউ, হোটেল সম্মান প্যালেস।
The post সুনীল জলরাশির হাতছানিতে সাড়া দিয়ে পাড়ি জমান দিউতে appeared first on Sangbad Pratidin.