shono
Advertisement

‘ডিভোর্স’ এড়াতে শিবরাত্রিতে এই মন্দিরে আসেন দম্পতিরা

শিবরাত্রির পরদিন অর্থাৎ কুসুমডিঙার দিন এই বিশেষ লোকাচার পালন করেন এই মন্দিরে এসে। The post ‘ডিভোর্স’ এড়াতে শিবরাত্রিতে এই মন্দিরে আসেন দম্পতিরা appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 06:58 PM Mar 05, 2019Updated: 06:58 PM Mar 05, 2019

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ঘটা করে বিয়ে হলেও সংসার সুখের হয় না। আজকাল আবার বেশির ভাগ দাম্পত্য কলহ চলে যাচ্ছে আদালতে। তারপরেই ডিভোর্স। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা বেড়েই চলেছে। দাম্পত্য সুখের গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। কিন্তু বাবা বৈদ্যনাথ ধামে রয়েছে বিশেষ লোকাচার। যা অন্য কোনও মন্দিরে সচরাচর মেলে না। শিব-পার্বতীর মন্দিরে গটবন্ধন বা গাঁটছড়া বাঁধলেই এড়ানো যাবে ডিভোর্স। ভক্তরা এই বিশ্বাসে শিবরাত্রির পরদিন অর্থাৎ কুসুমডিঙার দিন এই বিশেষ লোকাচার পালন করেন এই মন্দিরে এসে।

Advertisement

লাল আর হলুদ কাপড়ের ফালি। মন্দির চত্বরেই পাণ্ডারা তৈরি করেন গটবন্ধন বা গাঁটছড়া। ৫০ মিটারের এই কাপড়ের টুকরোই গ্যারান্টি দেবে দাম্পত্য সুখের ৫০ বছরের জন্য। বাবা বৈদ্যনাথ মন্দিরের চূড়া থেকে জয়দুর্গার মন্দিরের চূড়ায় গাঁটছড়া বাঁধার রেওয়াজ শিবরাত্রির পরদিন অর্থাৎ কুসুমডিঙাতে। স্থানীয় ভাষায় পান্নার দিন স্বামী-স্ত্রী বা নবদম্পতি লাল-হলুদের গটবন্ধন বাঁধেন। ডিভোর্স এড়াবার মোক্ষম দাওয়াই নাকি এই গটবন্ধন। পাণ্ডা স্বপন চক্রবর্তী জানান শিব-পার্বতীর মতো চির অমর বন্ধনের মনস্কামনা যাঁরা করেন তাঁরা বিশেষ মন্ত্রপূত গাঁটছড়া বাঁধলে তা পূরণ হয়। ভূ-ভারতে যেহেতু শিব-শক্তি একসঙ্গে কোথাও নেই তাই বিশেষ লোকাচারটি এখানেই রয়েছে।

[পার্বতীর মতো বউ পেতে শিবরাত্রিতে বিশেষ পুজো পুরুষদের]

আসানসোল রেল ডিভিশনের আওতায় বৈদ্যনাথধাম। আাসনসোল থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে এই দেওঘর বা বৈদ্যনাথধাম একসময় বাংলার মানভূম জেলার অর্ন্তভুক্ত। পরে তা বিহারে (বর্তমানে ঝাড়খণ্ড) চলে যায়। তবে মন্দিরের মূল পুরোহিত ও পাণ্ডারা বংশ পরম্পরায় সব বাঙালি। শিব ও শক্তি একসঙ্গে বিরাজমান এখানে। একদিকে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম মনস্কামনা লিঙ্গ আর অন্যদিকে শক্তিপীঠ, এখানে মুখোমুখি। পুরাণ মতে, সতীর হৃদয় পড়েছিল এখানে। এখানের মন্দিরটি তাই জয়-দূর্গা নামে খ্যাত। কৈলাস পর্বত থেকে জ্যোতির্লিঙ্গ লঙ্কায় নিয়ে যাওয়ার পথে লঙ্কেশ্বর রাবণ এখানেই নামিয়ে ফেলেছিলেন। সেই থেকে শিবলিঙ্গটি বৈদ্যনাথ নামে খ্যাত।

কলকাতা থেকে ভক্তরা ট্রেনে সরাসরি চলে আসেন যশিডি স্টেশনে। সেখান থেকে অটো করে কুড়ি মিনিটের পথ। পুজো দিয়ে ফিরে আসেন ভক্তিভরে। খালিপেটে উপবাস যদি সহ্য না হয় তবে দিনভর প্যাঁড়া খেয়ে পুজো করা যায় এখানে। এটাই এখানকার রীতি।

The post ‘ডিভোর্স’ এড়াতে শিবরাত্রিতে এই মন্দিরে আসেন দম্পতিরা appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার