সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বেসরকারি স্কুলের এক ছাত্রকে 'বলি' দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় জেলা শিক্ষা আধিকারিক স্বাতী ভারতি স্কুলটিকে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আরও অভিযোগ উঠছে, স্কুলটিকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চালানোর অনুমোদন দেওয়া ছিল। কিন্তু অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানে পঠন-পাঠন হত। যা নিয়ে জেলা শিক্ষক আধিকারিকদের নজরদারি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এদিকে ছাত্রকে বলি দেওয়ার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্বাতী ভারতি স্কুলের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এই ঘটনায় রামপ্রকাশ সোলাঙ্কি, দীনেশ বঘেল, যশধন সিং, লক্ষ্মণ সিং এবং বীরপাল সিং পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রত্যেকেই জেল হেফাজতে রয়েছেন। হাথরাসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোককুমার সিং বলেন, "চলতি মাসের ২৩ তারিখ রাসগাও এলাকায় এডিএল পাবলিক স্কুলে এক ছাত্রকে খুনের অভিযোগ আসে। সেই অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে। স্কুলের মালিক-সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।" দোষীদের ফাঁসির দাবি তুলেছে পরিবার।
নিহত ছাত্রের বাবা বলেন, "ছেলেকে হস্টেলের মধ্যে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। ওর ঘাড়ের হাড় ভাঙা হয়েছিল। ঠোঁট নীল হয়ে গিয়েছিল। দোষীদের ফাঁসি চাই। বিচার চাই।" ওই পড়ুয়ার মায়ের দাবি, স্কুলটিকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হোক।
ঘটনার দিন কথা বলতে গিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে মৃতের বাবা বলেন," ২৩ তারিখ বিকেল ৫টা নাগাদ আমাকে স্কুল থেকে ফোন করে বলা হয় ছেলে খুব অসুস্থ। আমি তাকে বাড়িতে নিয়ে আসতে বলি। কিন্তু তাতে ওঁরা রাজি হননি। স্কুল থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব ছয় কিলোমিটার। আমি রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা কখনও বলছিলেন শাহদাবাদে আছেন, কখনও বলছিলেন খণ্ডোলিতে আছেন। আমাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছিল। দেড় ঘণ্টা পরে দীনেশের কাছে আমার ছেলের দেহ দেখতে পাই।"
২৩ তারিখ ওই ছাত্রের মৃত্যুর খবর আসে। স্রেফ কুসংস্কারের বশে স্কুলের উন্নতির আশায় ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াকে হস্টেলের মধ্যে খুন করা বলে অভিযোগ। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের।