সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনারা দেশের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করেন। দেশেরও উচিত তাঁদের সম্মান করা। তাই তাঁদের সন্তান-সন্ততিদের পড়াশোনার খরচ বহনে প্রশাসন যেন কোনওরকম কার্পণ্য না করে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে সম্প্রতি এই মর্মে চিঠি দিলেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা।
[ কুষ্ঠ রোগী বলে মিলছে না আধার, পেনশন না পেয়ে বিপাকে বৃদ্ধা ]
কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও সেনার মৃত্যু হলে, কিংবা কেউ নিখোঁজ হলে বা অঙ্গ হারালে, তাঁর সন্তান-সন্ততির পড়াশোনার খরচ বহন করে প্রশাসনই। বইপত্তর থেকে স্কুলের খরচ, এমনকী হস্টেলের খরচও সরকারই দেয়। এতদিন পর্যন্ত এই নিয়ম বলবৎ ছিল। তবে সম্প্রতি একটি নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। যেখানে এই খরচে লাগাম টানা হয়েছে। এবার থেকে এই ক্ষেত্রে পড়াশোনার জন্য মাথাপিছু দশ হাজার টাকা বরাদ্দ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সপ্তম পে কমিশনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
[ বাবরি ধ্বংসের ২৫ বছর: দেশের কি মনে আছে এদিনের ইতিবৃত্ত? ]
এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন অ্যাডমিরাল সুনীল লানবা। তিনি জানিয়েছেন, “সেনারা দেশের জন্য জীবন পর্যন্ত বাজি রাখেন। সুতরাং দেশেরও উচিত তাঁদের জন্য ন্যূনতম কৃতজ্ঞতা দেখানো। তাঁদের সন্তান সন্ততির পড়াশোনার খরচ এতদিন সরকারই বহন করত। কিন্তু এবার তা কমিয়ে দিলে প্রকারন্তরে সেনাদেরই অসম্মান করা হবে।” তাই এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
[ মর্মান্তিক! ৩ মাসের কন্যাসন্তানকে খুন করে ওয়াশিং মেশিনে ঢোকাল মা ]
নানারকম সুযোগ সুবিধা নিয়ে সেনার অভ্যন্তরে ক্ষোভ কম নয়। ‘এক পদ এক পেনশন’ নিয়ম নিয়ে এখনও জটিলতা আছে। এদিকে খাবার-দাবারের নিম্ন মান নিয়েও মুখ খুলেছিলেন সেনার এক জওয়ান। তা নিয়ে তোলপাড় হয় দেশ। একেই যখন এরকম অবস্থা, তখন নয়া নিয়মে সেনার অভ্যন্তরে অসন্তোষ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। যিনি দেশের জন্য প্রাণ দিচ্ছেন, তিনি যদি মনে করেন তাঁর পরিবার নিরাপদ নয়, তাহলে ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। সেদিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন নৌসেনা প্রধান।
[ পরকীয়ার ‘শাস্তি’, স্বামীর গোপনাঙ্গে ফুটন্ত তেল ঢালল স্ত্রী ]
সূত্রের খবর, চিঠি পাওয়ার পরই পুরো বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে কবে কীভাবে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
The post ‘সেনারা দেশের জন্য প্রাণ দেন, ওঁদের সন্তানদের পড়ার খরচে কার্পণ্য নয়’ appeared first on Sangbad Pratidin.