সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মনির্ভর ভারতে ৯ দিন ধরে উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সুড়ঙ্গে আটকে ৪১ জন শ্রমিক। যে দেশ চাঁদ ছুঁয়ে ফেলেছে, সেই দেশের নাগরিকেরাই অসহায় মৃত্যুর মুখে! শেষ বেলায় আধুূনিক প্রযুক্তির জন্য বিদেশির মুখ চেয়ে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’। এ হেন সমালোচনার মুখে উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনার মিডিয়া সম্প্রচারে রাশ টানল কেন্দ্র। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে টিভি চ্যানেলগুলিকে বলা হয়েছে, অকারণে চাঞ্চল্য ছড়াবেন না। প্রশ্ন উঠছে, এই সিদ্ধান্ত কী ভোটমুখী?
মঙ্গলবারই প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছে সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে থাকা শ্রমিকদের ভিডিও। তাঁরা কী করছে, কী ভাবে আছেন, দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে। শ্রমিকদের মুখে ছিল অনিশ্চিয়তার ছাপ। এর পরেই মিডিয়া, বিশেষত টিভি চ্যানেলগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র। তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, টিভি চ্যানেলগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে, তাদের ক্যামেরা, সাংবাদিকরা যেন কোনওভাবেই উদ্ধারকাজকে ব্যহত না করে। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, শ্রমিকদের উদ্ধারে যথাসাধ্য করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও ভারত-রাশিয়ার বাণিজ্যে ব্যাপক বৃদ্ধি, উচ্ছ্বসিত রুশ রাষ্ট্রদূত]
তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছে, “৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারে একাধিক দল কাজ করছে সুড়ঙ্গের ভিতরে। সেখানে ক্যামেরা লাগিয়ে ছবির তোলার চেষ্টা বিপজ্জনক হতে পারে। ভিড় বাড়লে ব্যাহত হতে পারে উদ্ধারকাজ।” টিভি চ্যানেলগগুলিকে বলা হয়েছে, সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশে সতর্ক থাকুন। শ্রমিকদের পরিবারের মানসিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে ছবি, ভিডিও এবং সংবাদ শিরোনাম করুন। কোনওভাবেই যেন তাঁদের ভাবাঘাতে আঘাত না লাগে। উল্লেখ্য, খুব শিগগির একাধিক রাজ্যে ভোট। নতুন বছর পড়লেই বেজে যাবে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। সেকথা মাথায় রেখেই কি সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনার সংবাদ পরিবেশনে রাশ টানতে চাইছে মোদি সরকার?
[আরও পড়ুন: টানা চার ম্যাচে জয়, আই লিগে মহামেডান যেন অশ্বমেধের ঘোড়া]
প্রসঙ্গত, সিল্কইয়ারা এবং দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে তৈরি হচ্ছিল উত্তরকাশীর ওই সুড়ঙ্গটি। রবিবার ভোরে সেখানে ধস নামে। টানেলটি সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা। তারই মধ্যে ১৫০ মিটার লম্বা এলাকা জুড়ে ধস নেমেছিল। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার অর্পণ যদুবংশী। তাঁর তদারকিতেই শুরু হয় উদ্ধার অভিযান। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল শুরু করে উদ্ধারকাজ।