সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার মডেলের প্রশংসায় বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার (Dr Kunal Sarkar)। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে পজিটিভিটি রেট কমাতে গেলে সর্বত্র ডায়মন্ড হারবারের মতোই রেকর্ড টেস্ট করাতে হবে।
স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিবসে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবনায় ও উদ্যোগে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভায় একদিনে ৩০ হাজার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। বুধবার সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ হাজারেরও বেশি। এটা একটা রেকর্ডও বটে। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, এই পরীক্ষার ফল হিসাবে পজিটিভিটি পাওয়া গিয়েছে শতাংশের হিসেবে ২.১৬। যা অনেকটাই স্বস্তির ডায়মন্ডহারবার লোকসভার বাসিন্দাদের কাছে। খুশি সাংসদ নিজেও। এক টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, একদিনে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে পঞ্চাশ হাজারের বেশি করোনা পরীক্ষা করে স্বামীজির প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হল।
[আরও পড়ুন: করোনা পরীক্ষার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত করছেন অভিষেক, ঘুরে দেখবেন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিও]
ডায়মন্ডহারবারের এই টেস্ট অভিযানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার। বুধবার রাতে এক টুইটে তিনি লেখেন, রাজ্যে পজিটিভিটি রেট কমানোর একমাত্র উপায় টেস্টিং বাড়ানো। যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যজুড়ে ডায়মন্ড হারবারের মতো হারে টেস্টিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। বেশিদিন ৩০ শতাংশের বেশি পজিটিভিটি রেট থাকলে অনিশ্চয়তা বাড়বে। তাছাড়া এরপর গঙ্গাসাগরের প্রভাবও পড়বে। নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্র ডায়মন্ড হারবারকে সুরক্ষিত রাখতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সাংসদের নির্দেশে ডায়মন্ড হারবারজুড়ে করোনা মোকাবিলায় মাস্ক বিলি, সচেতনতা প্রচার, বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, জনবহুল এলাকায় ডবল মাস্কের ব্যবহারে প্রচার চলছে। খোলা হয়েছে ১৮৪টি কন্ট্রোলরুম। করোনা রোগীদের সাহায্যে ডক্টরস অন হুইলস, টেস্টিং অন হুইলস চালু হয়েছে। অভিষেকের বিভিন্ন পদক্ষেপের পর ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ ( Diamond Harbour model) নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। চিকিৎসক কুণালবাবুর অভিমত, অভিষেকের এই ডায়মন্ড হারবার মডেলই রাজ্যবাসীর পরিত্রাণের উপায়।
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: রাজ্যে সামান্য বাড়ল করোনা সংক্রমণ, ডায়মন্ড হারবারে একদিনে রেকর্ড নমুনা পরীক্ষা]
এই প্রথমবার নয়। দিনকয়েক আগেও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল চিকিৎসক কুণাল সরকারের মুখে। কোভিডের (COVID-19) বাড়াবাড়ি রুখতে দু’মাস সমস্ত রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কর্মসূচি বন্ধ রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেকের বক্তব্য তাঁর অভিমত ব্যক্তিগত হলেও তাকে দরাজ গলায় সমর্থন করেন ডাক্তার সরকার।