সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিকিৎসা করে রোগীর প্রাণ বাঁচানোই তার পেশা। তবে সেই চিকিৎসকই কিনা হয়ে উঠল ভক্ষক। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হওয়া তরুণীকে হস্টেলে ডেকে গণধর্ষণের অভিযোগ। তরুণী নিজেই অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু তদন্ত। এই ঘটনায় ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনও অধরা দু’জন।
তরুণী উত্তরপ্রদেশের বাসতির বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। তরুণী জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাসতি সদরের কোতয়ালি এলাকার এক চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কথাবার্তা হত তাঁদের। খুব কম সময়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় দু’জনের। তরুণীর আরও দাবি, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওই চিকিৎসক তাঁকে ডেকে পাঠায়। প্রথমে আপত্তি করেন তরুণী। পরে যদিও তিনি প্রস্তাবে রাজি হন। ওই চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে যান তরুণী।
[আরও পড়ুন: চাঁদা না দিলে অধিকার নেই অঞ্জলিতেও! মুর্শিদাবাদে ঝগড়ার মাঝে পড়ে মৃত্যু মহিলার]
দেখা হওয়ার পর ওই চিকিৎসক তরুণীকে হস্টেলে নিয়ে যান। সেই সময় হস্টেলের ঘরে ছিল চিকিৎসকের আরও দুই সহকর্মী। অভিযোগ, হস্টেলের ওই ঘরে তরুণীর উপর নারকীয় অত্যাচার চলে। তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। কোনওক্রমে যুবকদের খপ্পর থেকে বেরন তরুণী।
এরপর ওই তরুণী সোজা থানায় যান। পুলিশে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বাকি দু’জন অধরা। তাদের খোঁজে শুরু তল্লাশি। তরুণীর মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। আপাতত শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।