সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'জীবন কাহারও সমান নাহি যায়।' জীবনের এই গূঢ় তত্ত্বকথা রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও সমানভাবে কার্যকরী। যে আমেঠিতে রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি, সেই কেন্দ্রেই এবার কংগ্রেসের কাছে হেরেছেন তিনি। নির্বাচনে হারার পর স্মৃতির উদ্দেশে ধেয়ে এসেছে কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের কটাক্ষ। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই এবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে দলের নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিলেন, মানুষকে অপমান করা দুর্বলতার লক্ষণ।
নিজের দলের নেতা-কর্মীর পাশাপাশি স্মৃতির নিন্দুকদের একহাত নিয়ে শুক্রবার সোশাল মিডিয়ায় বার্তা দেন রাহুল গান্ধী (RAhul Gandhi)। স্মৃতির বিরুদ্ধে অবমাননাকর ভাষা থেকে বিরত থাকার বার্তা দিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'জীবনে জয়-পরাজয় ঘটেই। আমি সকলকে এই বিষয়ে স্মৃতি ইরানির (Smriti Irani) বা অন্য কোনও নেতার প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার না করার আহ্বান জানাই। মানুষকে অপমান করা কোনও ভাবেই শক্তি দেখানোর পর্যায়ে পড়ে না। বরং এটি দুর্বলতার লক্ষণ।'
[আরও পড়ুন: বিধায়ককে খুনের চেষ্টা! প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডির বিরুদ্ধে FIR চন্দ্রবাবুর পুলিশের]
উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে আমেঠি (Amethi) ও রায়বরেলি (Raebareli) এই দুই কেন্দ্র গান্ধী পরিবারের গড় হিসেবে পরিচিত। ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে রাহুলের কাছে ১ লক্ষের বেশি ভোটে পরাজিত হন স্মৃতি ইরানি। তবে গোটা দেশকে অবাক করে ২০১৯ সালে রাজীবপুত্রকে এখানে ধরাশায়ী করেন খোদ মোদির আশীর্বাদধন্য প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। এই সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। তবে ২০২৪ সালে ফের পালাবদল দেখা যায় এই কেন্দ্রে। স্মৃতিকে হারিয়ে এই কেন্দ্রে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী কিশোরীলাল শর্মা।
[আরও পড়ুন: শিক্ষানবিশ IAS পূজার বিরুদ্ধে তদন্তে কেন্দ্র, প্রকাশ্যে বন্দুক হাতে আমলার মায়ের কীর্তি]
কিশোরীলাল শর্মার কাছে হারের পর স্মৃতিকে উদ্দেশ্য করে আছড়ে পড়ে কটাক্ষের ঢেউ। শুধু কংগ্রেস নেতা-কর্মী নন, সোশাল মিডিয়ায় স্মৃতিকে আক্রমণ শানান তাঁর বিরোধীরা। এহেন পরিস্থিতিতেই স্মৃতির পাশে দাঁড়িয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়ে 'গান্ধীগিরি' দেখালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।