সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁরা অভিন্নহৃদয় বন্ধু। প্যারিস সাঁ জাঁ-য় (Paris Saint-Germain) দু’জনে একসঙ্গে খেলেন। বুধবার রাতে বন্ধু এমবাপে (Kylian Mbappe) জিতলেন। আর আশরাফ হাকিমির (Achraf Hakimi) স্বপ্ন ভেঙে গেল।
কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্স ২-০ গোলে হারায় মরক্কোকে। ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। মরক্কোর রূপকথা থেমে গেল। রেফারির শেষ বাঁশির পরে বিধ্বস্ত অবস্থা হাকিমি, জিয়েশ, এয়াসিন বোনোদের। তাঁরা তখন হতাশায় মাটিতে শুয়ে রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘আপনি স্বীকার করুন বা না করুন, এই বিশ্বকাপটা লিওনেল মেসির’, বলছেন আর্জেন্টিনার প্রাক্তন তারকা ভেরন]
হতাশ, অবসন্ন বন্ধু হাকিমিকে টেনে তুললেন এমবাপে। পরে এমবাপে টুইটারে লিখেছেন, ”ভাই, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তোমরা যে ইতিহাস তৈরি করেছ তার জন্য সবাই গর্বিত।” খেলা শেষের পরে হাকিমি ও এমবাপে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে রয়েছেন, এমন ছবিই পোস্ট করেছেন ফ্রান্সের তারকা ফুটবলার।
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। বিশ্বকাপের মধ্যেই এমবাপে চলে গিয়েছিলেন মরক্কোর টিম হোটেলে। সেখানে হাকিমির সঙ্গে তাঁর গলা জড়াজড়ি করে ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
হাকিমি রাইট ব্যাক পজিশনের খেলোয়াড়। কিন্তু বুধ-রাতে হাকিমিও পারেননি এমবাপেকে ম্লান করতে। যদিও সেমিফাইনালের লড়াইয়ের আগে মরক্কোর কোচ ওয়ালিদ রেগরেগুই বলেছিলেন, ”এমবাপেকে আমার থেকেও ভাল জানে হাকিমি। ও এমবাপের সঙ্গে রোজ ট্রেনিং করে।”
হাকিমি ও এমবাপের বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক কথা প্রচলিত রয়েছে। এমবাপেকে সেরা মনে করেন হাকিমি। আর ফরাসি তারকা মনে করেন হাকিমি বিশ্বের অন্যতম সেরা রাইট ব্যাক। দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পরে দুই বন্ধু জার্সি আদানপ্রদান করেছেন।
ফুটবলমহলে এর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বকাপ শেষ হলেই প্যারিস সাঁ জাঁ ছেড়ে অন্য ক্লাবে চলে যাবেন হাকিমি। তাঁকে থামাতে পারেন একমাত্র এমবাপে। ঘটনাপ্রবাহ সেদিকে মোড় নেয় কিনা সেটাই এখন দেখার।